মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের নিয়ে হাইকোর্টে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে দেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রিটে সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়েছে বলে গতকাল সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল। রিট আবেদনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া কেন অমানবিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক ও কোস্টগার্ডের ডিজিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়ে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাঙালিরা যখন পাকসেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম তখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক কোটি বাঙালিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা খাবার, ওষুধ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ভারত সরকার আমাদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলা ও হত্যাযজ্ঞের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে আমরা বাধা দিচ্ছি। আমাদের উচিত ছিল বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা না দেওয়া। রিটে বিভিন্ন জাতীয়  দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও সংযুক্ত করা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনা-পুলিশ সহিংস অভিযানে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের হতাহতের খবর আসছে। অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বেড়েছে। বিজিবির বাধা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে ওলামা লীগের স্মারকলিপি : মিয়ানমারের মুসলিম গণহত্যা, নারী ধর্ষণ এবং শিশু হত্যা বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে গতকাল দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এ সময় ‘অবিলম্বে মিয়ানমারের মুসলিম গণহত্যা বন্ধ না হলে’ মিয়ানমারের পণ্যবর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের সভাপতি আল্লামা ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেইন, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা এস এম ফরিদ-উজ-জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এম আবদুল্লাহ আল ইস্রাফিল, মোশারফ হোসেন নাঈম, মাওলানা হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, শেখ আলী আব্বাস, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, মাওলানা আরিফ হোসেন প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর