বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
শ্রমিক আইয়ুব হত্যা

নরসিংদীতে ৬ জনের ফাঁসি

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে বরফকল শ্রমিক আইয়ুব মিয়া (২৮) হত্যা মামলায় ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা  অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সুজন ওরফে বাঘা সুজন, নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়ার সোহাগ চন্দ্র দাস, বৌয়াকুড়ের সাদ্দাম, সমীর চন্দ্র দাস, বিমল ও চাঁদপুরের মতলবের এরশাদ। আসামিরা সবাই পলাতক। আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত আইয়ুব মিয়া শহরের বৌয়াকুড়ের একটি বরফকলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট একই বরফকলের চাকরিচ্যুত শ্রমিক টাইগার সুজন তাকে বেড়ানোর কথা বলে মেঘনা নদীতে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরদিন দামের ভাওলা গ্রামে নিখোঁজ আইয়ুবের মাথাবিহীন লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবদুল হেকিম সরকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, চাকরি হারানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে টাইগার সুজন তার বন্ধুদের নিয়ে আইয়ুবকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় সিআইডি পুলিশের এসআই ইমাম হোসেন এজাহারভুক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল বিচারক তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অলি উল্লাহ্ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা হয়তো তার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু এ রায়ে নিহতের পরিবার সন্তুষ্ট।

শরীয়তপুরে একজনের মৃত্যুদণ্ড : এদিকে শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শরীয়তপুরের রামভদ্রপুরের চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহামান এ আদেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই আসামি গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের বাড়ির মন্দিরে পূজা করার সময় ছেলের বউ অর্চনা কবিরাজকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় ভাইয়ের বউ রানী বালাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে গোবিন্দ। ওই দিনই নিহত অর্চনার স্বামী লাল মোহন কবিরাজ বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আতাউর রহমান গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।   

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর