বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অনলাইন পদ্ধতিতে সাড়া মিলছে না

জেলা পরিষদে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ

গোলাম রাব্বানী

নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করলেও এতে সাড়া মিলছে না। ২০ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত কেউই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, নির্দলীয় এ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আগেই। এ ক্ষেত্রে শুধু ক্ষমতাসীন দল, জোটের শরিক ও অন্যরা প্রার্থী হচ্ছেন। ইতিমধ্যে একক প্রার্থীর তালিকাও প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। সদস্য পদেও তৃণমূলে প্রার্থী চূড়ান্তের প্রক্রিয়া চলছে। একক এ নির্বাচনে তেমন বাধা-বিপত্তি না থাকায় কেউ অনলাইনে মনোনয়ন দেননি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। কোনো পদে একজন প্রার্থী থাকলে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। দলভিত্তিক ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মধ্যে অনলাইনে মনোনয়নপত্র চালুর উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদের ভোটে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হলো, যেখানে বিএনপিও অংশ নিচ্ছে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও সুযোগ রয়েছে এ নির্বাচনে। চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থিতার সময় শেষ হচ্ছে আজ। গতকাল ইসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ পর্যন্ত ১০ দিনে কেউই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। প্রথমবারের মতো এ সুযোগ রাখা হয়েছে। সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জমা দেওয়ার সুযোগ থাকাতেই হয়তো সাড়া পড়েনি। তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বাকি ৬১ জেলায় প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ভোট হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকরা এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও কোথাও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন।

প্রতিটি জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের ভোটার। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন। এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর