বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রামপুরায় র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রামপুরায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন ঝালকাঠির পবিত্র সমাচার এবং শরীয়তপুরের মোহাম্মদ আলী স্বপন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রামপুরার বালুর মাঠ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। পরে রামপুরা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।

র‌্যাবের দাবি, নিহতদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তারা ১০-১২ জনের একটি চক্র। তাদের গ্রেফতারে অনেক দিন ধরেই  অভিযান চলছিল। নিহতদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার জানান, দুর্বৃত্তরা একটি গাড়ির পিছু নিচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে টহলে থাকা র‌্যাব সদস্যরা দুর্বৃত্তদের পিছু নেয়। বালুর মাঠের কাছাকাছি এলে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। আত্ম রক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও গুলি করতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাবের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন— পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, ল্যান্স করপোরাল মোর্শেদুল, ল্যান্স নায়েক আফজাল ও জাহাঙ্গীর। তারা মুগদা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে রামপুরা তিতাস রোডে পবিত্র ও স্বপনসহ আরও ৫-৬ জনের একটি দল এক ব্যক্তিকে গুলি করে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ওই ব্যক্তি। পরে র‌্যাব-পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী। ওই দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে র‌্যাব। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিতাস রোড দিয়ে একটি ব্যাগ হাতে হেঁটে যাচ্ছেন এক যুবক। কিছু দূর এগোতেই বাম পাশের একটি গলি থেকে তিনজন লোক ওই ব্যক্তির সামনে এসেই মাটির দিকে অস্ত্র তাক করে গুলি করে। তাদের মধ্যে পবিত্র নীল শার্ট পরিহিত এবং গেঞ্জি পরিহিত স্বপনকে বোঝা যাচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে মুহূর্তেই বসে পড়েন ওই ব্যক্তি। একপর‌্যায়ে ব্যাগ ফেলে পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। এ সময় তিনজনের আরেকজন আবারও ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই তিনজনের পাশেই আরও দুজন ছিল বলে অনুমান করা যায়। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাইয়ের অপারেশন শেষ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রামপুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী ছিল। তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা, বাড্ডাসহ রাজধানীর কয়েকটি থানায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে মামলা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর