শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিমানবন্দর টু গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট

চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সড়ক বিভাগের, কাজ শেষ হবে ৩০ মাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমানবন্দর টু গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গেজহুবা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ প্রকল্পে ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাথ ও ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা সড়ক নির্মাণ করবে গেজহুবা গ্রুপ। ৩০ মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার। ঢাকার যানজট নিরসনে দেশে প্রথমবারের বিআরটি চালু হলে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান ও গেজহুবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াং রোমেন বিআরটি নির্মাণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও নাইমুর  রহমান দুর্জয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের কমার্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ লুইও জিয়ানফেং, জেনারেল ম্যানেজার হু কিলিসহ প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, প্রকল্পের মূল করিডরে মোট দৈর্ঘ?্য হবে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার থাকবে এলিভেটেড বিআরটি লেন। বাকি ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে ছয়টি ফ্লাইওভার। দুই প্রান্ত গাজীপুর ও বিমানবন্দরে থাকবে দুটি টার্মিনাল। এ দুই টার্মিনালের মধ্যবর্তী পথে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য নির্মাণ করা হবে ২৫টি স্টেশন। প্রতি দুই থেকে পাঁচ মিনিট পর পর স্টেশন থেকে বাস ছাড়বে। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বা গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটিতে পৌঁছতে লাগবে ৫০ মিনিট। যাত্রী পরিবহনে এই সড়কে ১৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ১০০ আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে। আর যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হবে ইলেকট্রনিক স্মার্টকার্ডে।

এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে আট লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাথ ও গাজীপুরে একটি বাস ডিপো। প্রকল্প পরিচালক জানান, গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট চালু হলে টঙ্গী ও উত্তরার সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত সহজ হবে। দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে যাত্রী পারাপারের পাশাপাশি আরামদায়ক সেবা নিশ্চিত করা যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এতে সরকার ছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাসিলিটি অর্থায়ন করছে। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টঙ্গী ফ্লাইওভার ছাড়া বাকি ১৬ কিলোমিটার রুটের কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর