প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে তিস্তা চুক্তি নিয়ে ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ানের বিবৃতি দিয়ে এমন দাবি করেছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। সেই বিবৃতিতে তিস্তা চুক্তির ‘গ্রহণযোগ্য সমাধান’ খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর ভারত যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতি সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সন্ত্রাস দমনে দিল্লির পাশেই থাকবে ঢাকা। একইভাবে ভবিষ্যতে কৌশলগত প্রশ্নে হাসিনাকে পাশে পাওয়া প্রয়োজন নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এ কারণেই তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ করতে ভারত যে কোমর বেঁধে নেমেছে দিল্লি সেই বার্তাই দিতে চাইছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান লোকসভায় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের বিষয়ে ভারত সরকার উদ্যোগী। সব পক্ষের স্বার্থরক্ষা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।’ লোকসভায় প্রতিমন্ত্রীর এই ঘোষণার মাধ্যমে মমতা সরকারকেও বার্তা দিতে চেয়েছে মোদি সরকার। নোট বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য যতই দ্বৈরথ চলুক না কেন, তিস্তা প্রশ্নে কিন্তু মমতার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদির সঙ্গে ঢাকা সফর এবং স্থলসীমান্ত চুক্তির সফল রূপায়ণের পর বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মনোভাব এখন অনেক নমনীয়। এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনের বাংলাদেশ উৎসব শুরু হবে, যার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার এই উৎসবের অন্যতম সহযোগী। ঢাকাও মমতার এই মনোভাবকে আশাপ্রদ বলেই মনে করছে।
