শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

লোকালয়ে হনুমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

লোকালয়ে হনুমান

রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুইবল গ্রামের নজাংল ইসলামের স্ত্রী বেলী আরা (৩৪) আমগাছের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় উপরে কিছু একটা দেখতে পান। প্রথমে তিনি সেটিকে শেয়াল মনে করেন। গাছে শেয়াল বসে আছে— তা ভেবে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। পরে লোকজন জড়ো হলে দেখতে পান, আসলে সেটি হনুমান। গ্রামের মধ্যে হনুমান দেখে প্রথমে সবাই বেশ অবাক হন। এই হনুমানটি এখন গোটা এলাকার গাছপালায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কয়েকদিন ধরে উপজেলার কোয়েল হাট, গাল্ল, শাহাপুর, নোনাপুকুর দুবইল গ্রামে ঘুরছে হনুমানটি। উত্সুক গ্রামবাসী প্রতিদিন এটি ভিড় করে দেখছেন, অনেকে খাবারও দিচ্ছেন। দুইবল গ্রামের ইউসুফ মোল্লা জানান, সপ্তাহ খানেক ধরে হনুমানটি বাঁশ ঝাড়, নিমগাছসহ বিভিন্ন গাছে অবস্থান করছে। গ্রামবাসীরা যে যেভাবে পারছে খাবার দিচ্ছে। গাছের নিচে খাবার দিয়ে সরে গেলে হনুমানটি নিচে এসে খাবার খেয়ে আবার উপরে উঠে যাচ্ছে। দুবইল মোড়ের সার ব্যবসায়ী আজাদ আলী জানান, হনুমানটি কলা, পাউরুটি, বিস্কুট ইত্যাদি শুকনা খাবার খাচ্ছে। এ অবস্থায় হনুমানটির প্রাণ হুমকির মুখে বলেও তিনি জানান। কিছু কিশোর হনুমানটিকে ঢিল ছুঁড়ে প্রায় আহত করেই ফেলেছিল। তিনি আরও জানান, হনুমানটি আকারে অনেক বড়। তার লেজ পাঁচ ফুটের মতো লম্বা। উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বণ্যপ্রাণি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ জানান, হনুমানটি সম্ভবত ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। দল ছুট হয়ে এসে বিভিন্ন গ্রামের গাছে গাছে বেড়াচ্ছে। হনুমান শান্ত প্রকৃতির প্রাণী। এরা মানুষের কথা শোনে ও সহজেই পোষ মানে। এরা ভোজন প্রিয় প্রাণী। কেউ তাদের পছন্দের খাবার দিলে কাছে চলে আসে। কেউ বিরক্ত না করলে নিজেরা ইচ্ছা মতো গাছের ডালে ডালে খেলা করে লতা-পাতা খেয়েও জীবন-যাপন করে থাকতে পারে। তবে যত দ্রুত সম্ভব এটিকে উদ্ধার করতে বন বিভাগের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে এমন পরিবেশে হনুমানটির প্রাণ হুমকির মুখে পড়বে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর