মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এরশাদের ক্ষমতা হারানোর দিন

গণতন্ত্র আজও পূর্ণতা পায়নি
অসীম কুমার উকিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এরশাদের ক্ষমতা হারানোর দিন

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান স্বৈরাচার সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিল। সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পায়। এ আন্দোলন ছিল আমাদের জন্য  অহংকারের। এই অধ্যায় গর্বের। তবে গণতন্ত্র আজও পূর্ণতা পায়নি। মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। বিদেশি নাগরিক হত্যা করা হচ্ছে। জঙ্গি হামলা চালানো হচ্ছে। এগুলো গণতন্ত্রের জন্য দুর্বল দিক। গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে এসব দুর্বল দিক বন্ধ করতে হবে। তাহলেই নব্বইয়ের আন্দোলনের সফলতা নিশ্চিত হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে অসীম কুমার উকিল বলেন, গণতন্ত্র শতভাগ পূর্ণতা না পেলেও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে আরও বিকশিত করার যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজ শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাসমুক্ত, বিচার বিভাগ স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন আগের তুলনায় আরও শক্তিশালী। যে স্বপ্ন নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম সেই স্বৈরশাসক আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সরকার গঠিত হচ্ছে। জনগণের প্রতিনিধি রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। রাতের আঁধারে জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো আর কেউ জোর করে ক্ষমতায় বসতে পারেনি। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা নিতে আর কোনো রাজনৈতিক দল গঠন হয় না। রাতের আঁধারে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হয় না। ক্যাম্পাসে আর গোলাগুলি হয় না। ছাত্রদের হাতে বই-খাতা, কলম থাকে। অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে হয় না। গণমুখী শিক্ষানীতি পেয়েছি। তবে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র পরিপূর্ণতা পায়নি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্মান্ধতা-সাম্প্রদায়িক শক্তি শকুনের মতো খামছে ধরেছে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দিকগুলোর শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। গণতন্ত্র মুক্তির চেতনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর