মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষমতা ছেড়েছিলাম

কাজী ফিরোজ রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষমতা ছেড়েছিলাম

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেদিন ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সামরিক ব্যক্তির শাসন বাতিল করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজকের গণতন্ত্রের যে সুযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র এবং জনগণ ভোগ করছে এর সূচনা করছিলেন এইচ এম এরশাদ। অনেকে আজকের দিনটিকে স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করে বিষয়টাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে অনেক দল, অনেক মতের মানুষ রয়েছে। দেশে নানান দিবস রয়েছে। যে যার মতো দিবস পালন করে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সাবেক এ মন্ত্রী এ কথা বলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালত আমাদের সে সময়কার শাসনামলকে গণতান্ত্রিক এবং বৈধ সরকার হিসেবে রায়ে উল্লেখ করেছে। পরবর্তীতে গণআন্দোলন এবং জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গণতান্ত্রিক পথ সুগম করার লক্ষ্যে এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমাদের তখনকার কেবিনেট মিটিং ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আজকের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন এইচ এম এরশাদ। সে দিন থেকেই শুরু হয় গণতন্ত্রের দীর্ঘ পথচলা। সে দিন গণতন্ত্রের যে ট্রেনের শুভ উদ্বোধন হয়েছিল তা এখনো চলছে। পাঁচ বছর পর পর এ ট্রেন স্টেশনে থামে। যাত্রীরা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় শামিল হন। সংসদ সদস্যরা ট্রেনে ওঠা-নামা করেন। তিনি বলেন, আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত বর্তমান ট্রেন চলবে। ২০৪১ সালে এ ট্রেন অনেক পথ এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্রের এই সুবাতাস যতদিন দেশে অব্যাহত থাকবে ততদিন এইচ এম এরশাদের নাম মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এ দিনটিকে গণতন্ত্র মুক্ত দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করে আসছে। আজও রাজধানীতে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সারা দেশেও এ দিবসটি দলের নেতা-কর্মীরা পালন করবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর