ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় দুজন ব্যবসায়ী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল ওই তিনজনকে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদক জানায়, তিন আসামির দুজন বেসিক ব্যাংকের দুই গ্রাহক গুলশানের তাহমিনা টাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসির আহমেদ খান ও পরিচালক কাজী রেজওয়ান মনিরুল হক। অন্যজন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের কার্ড ডিভিশনের প্রধান ও এভিপি মুসাব্বির রহিম। বেসিক ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ী ইয়াসির আরাফাত ও কাজী রেজওয়ানসহ ১০ জনের নামে দুদক উপপরিচালক জয়নুল আবেদীন গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা ব্যাংকের কর্মকর্তা। সেই মামলায় গতকাল আরাফাত ও রেজওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও গ্রাহকদের সঙ্গে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার মতো জালিয়াতির অভিযোগে সিটি ব্যাংকের এভিপি ও কার্ড সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কর্মরত মুসাব্বিরের নামে মামলাটি হয়। বনানী থানায় চলতি বছর ১৮ আগস্ট মামলাটি করেন একই ব্যাংকের লিগ্যাল ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার এ কে এম আইয়ুব উল্লাহ। সেই মামলায় মুসাব্বিরকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়। এ তিনজনের গ্রেফতারের বিষয় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন দুদক উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী গ্রেফতার : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ আহামেদকে গ্রেফতার করেছে দুদক। গতকাল রাজধানীর মধ্য পীরেরবাগে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।