শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু

আহ্বান করা হয়েছে ই ও আই স্টাডির দরপত্র

নিজামুল হক বিপুল

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু

অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত বাণিজ্যিক রাজধানীর সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ। এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট ফর ফিজিবিলিটি স্টাডির (ইওআই) জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়। এরপর সেতু বিভাগ কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেবে। তারপর ধাপে ধাপে এই প্রকল্পের কাজ সামনের দিকে এগোবে। এমনটাই বলছেন সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কের পাশ দিয়েই ঢাকা চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় বিগত মহাজোট সরকারের শেষ দিকে। বর্তমান চার লেন মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে এবং দ্রততম সময়ে যাতায়াতের জন্য সরকার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম দিকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক বছর পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির চাপ এখনকার তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এই বিবেচনায় সরকার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এতে করে এই সড়ক ব্যবহারকারীরা বর্তমানের চেয়ে অত্যন্ত কম সময়ে অর্থাৎ আড়াই-তিন ঘণ্টায় রাজধানী থেকে বন্দরনগরীতে যাতায়াত করতে পারবেন। সূত্র জানায়, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে-যদি পুরো সড়কটি উড়ালসড়ক হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তবে আংশিক উড়াল ও বড় অংশ মাটির ওপর দিয়ে হলে এই ব্যয় অর্ধেকের নিচে নেমে আসতে পারে। নির্মাণ কাজ শুরুর পর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চার বছর সময় লাগতে পারে। এই সড়কটির বৈশিষ্ট্য হবে- এই সড়কের দুই পাশে বেষ্টনী থাকবে। তাই জনসাধারণ পারাপার হতে পারবেন না। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েতে ৬৪টি আন্ডারপাস, প্রায় ১৪৫টি ফুটওভারব্রিজ, মূল সড়ক থেকে পার্শ্ববর্তী সড়কে যাওয়ার জন্য সাতটি র‍্যাম্প ও ১০ লেনের টোল প্লাজা থাকবে। এ ছাড়া পুরো সড়কেই থাকবে কড়া নজরদারি। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি বলতে গেলে এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ইওআই আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বর আবেদন জমার সর্বশেষ তারিখ ছিল। তবে অনেকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন জমার সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা  যাবে। তারপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে যাদের ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ দেওয়া হবে তাদের দেড় বছর সময় বেঁধে দেওয়া হবে। প্রধান প্রকৌশলী আরও জানান, এই প্রকল্পের জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগে আরও ছয় মাস সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর