নাটোরের তিন যুবককে হত্যা করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফেলে রাখায় নাটোর থানায় বিশেষ বাহিনীর অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত মো. আবদুল্লাহ (২৭) বাংলা টাইমস-২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক, রেদোয়ান সাব্বির (২২) পৌর যুবলীগ নেতা ও সোহেল রানা (২৫) যুবলীগ কর্মী। নিহত নাটোর শহরের কানাইখালীর রেদোয়ান সাব্বিরের মা রুখসানা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়, ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে তার ছেলে রেদোয়ান সাব্বির ব্যবসায়িক কাজে সদর থানার কাফুড়িয়া তোকিয়া বাজারে যায়। সেখানে মান্নান মিয়ার চায়ের দোকানে তার ছেলে দুই বন্ধু মো. আবদুল্লাহ এবং সোহেল রানাকে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জন সাদা পোশাকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী র্যাব পরিচয় দিয়ে রেদোয়ান সাব্বির ও তার দুই বন্ধু মো. আবদুল্লাহ এবং সোহেল রানাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে দুটি মাইক্রোবাসে তুলে রাজশাহীর দিকে চলে যায়। এ সময় তোকিয়া বাজারের নৈশপ্রহরী মো. আবদুল জব্বার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার নৈশপ্রহরী আবদুল লতিফসহ অনেকেই এই ঘটনা দেখেন। তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় নাটোর থানায় একটি জিডি করা হয়। ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে তিনি থানার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তার ছেলে রেদোয়ান সাব্বির ও ছেলের দুই বন্ধু মো. আবদুল্লাহ ও সোহেল রানার গুলিবিদ্ধ লাশ ঘোড়াঘাটের কলাপাড়া এলাকার একটি বাগানে পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তার দেবর মুক্তা, আবদুল্লাহর ছোট ভাই আহম্মদ উল্লাহ, সোহেলের খালাতো ভাই হাসান ও চুন্নু এবং আলম কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে নাটোরে নিয়ে আসে। আর্জিতে বলা হয়, প্রশিক্ষিত কোনো বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে যায়। হত্যার বিচার চেয়ে নাটোর থানায় গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এজাহার করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তা পেনাল কোডে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন।
