শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সালাম না দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সালাম না দেওয়া রাতে শাটল ট্রেন থেকে সংঘাতের সূত্রপাত। এরপর রাতে এবং শুক্রবার দিনে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণাধীন শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সংঘাতে জড়িয়ে পড়া একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু এবং আরেক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন সমর্থক। চবি ছাত্রলীগ সভাপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের এবং সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু দেশে তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ চবি ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে চবি ক্যাম্পাসে আসা শাটল থেকে জুনিয়র এক কর্মী সিনিয়রকে সালাম না দেওয়ায় দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়। পরে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এলে স্টেশন এলাকায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ।

পরে রাতে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বৃহস্পতিবার রাতে দুই দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে শাহজালাল হলের সামনে নাস্তা করতে আসে সভাপতি গ্রুপের এক কর্মী। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা তাকে একা পেয়ে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে সভাপতির অনুসারীরা জড়ো হয়ে ফের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালের সংঘর্ষের পর শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ দুই হলে তল্লাশির কথা স্বীকার করে চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসাদ্দেক হোসাইন বলেন, ‘দুপুরের দিকে দুই হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশিকালে দুই হল থেকে রামদা, রডসহ বেশ কিছু দেশে তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর