শিরোনাম
শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সু চিকে রোহিঙ্গা গ্রামে যাওয়ার পরামর্শ জাতিসংঘের

প্রতিদিন ডেস্ক

তিনি শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন। তাকে গণতন্ত্রী নেত্রী হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। এখন তিনি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান। সেই অং সান সু চির দেশে নির্দয়ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের। ধর্ষণ করা হচ্ছে সব বয়সী নারীদের। পোড়ানো হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সেই অং সান সু চিকে এবার নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের রাজ্য রাখাইনে পরিস্থিতি সচক্ষে দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিয়ানমার-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির প্রতি ওই আহ্বান জানান। রাখাইনের পরিস্থিতিতে সু চির হস্তক্ষেপ চেয়ে বিজয় নামবিয়ার বলেন, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানে যাওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অস্বীকৃতি এবং স্থানীয় জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে রক্ষণাত্মক কৌশল গ্রহণ করার কারণে ওই অঞ্চলে ও আন্তর্জাতিকভাবে হতাশার জন্ম নিয়েছে। এ উদ্বেগের বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমেই কেবল এ সংকট সমাধান ও নিজেদের আন্তর্জাতিক অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে পারবে সরকার।’ বিজয় নামবিয়ার বলেন, ‘আমি সু চিকে রাখাইনের মংডু ও বুথিডং পরিদর্শনের অনুরোধ করছি। সেখানকার বেসামরিক লোকজনকে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে বলেছি।’

এখন পর্যন্ত রাখাইন অঙ্গরাজ্যে সেনা অভিযানে সরকারি হিসাবে কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছে। ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়েছে। সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব ও সংঘাত সমাধানে গঠিত একটি কমিশনের প্রধান কফি আনান মঙ্গলবার মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনের শাসনের মধ্যে থেকে কাজ করতে বলেছেন। রোহিঙ্গাবিরোধী এই অভিযান বন্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত হচ্ছেন সু চি। রাখাইনে রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হচ্ছে। আগুন দেওয়া হচ্ছে। দমন-পীড়নের মুখে হাজারো রোহিঙ্গা পালাচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য অনেকে সীমান্তে জড়ো হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে মিয়ানমার সরকার। গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের কয়েকটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় পুলিশের নয়জন সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত জেলাগুলোতে দেশটির সেনা-পুলিশের সহিংস অভিযান শুরু হয়। এএফপি

সর্বশেষ খবর