ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে ফায়ার সেফটি মেলা। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অগ্নিনিরাপত্তা সিস্টেম, অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যবহূত বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদর্শিত হচ্ছে এ মেলায়। গতকাল মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশ্ব ফায়ার সেফটি দিবস উপলক্ষে ইসাব এলিভেটের আয়োজনে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসাব এলিভেটের এমডি মেসবাহ রবিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ সহসভাপতি মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ। তিন দিনব্যাপী মেলার প্রথম দিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলা উপলক্ষে আইসিসিবি চত্বরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অগ্নি মহড়া প্রদর্শন করছেন। আইসিসিবি চত্বরে পেট্রল পাম্পের আদলে গড়ে তোলা হয় একটি জোন। সেখানেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন। দ্রুততার সঙ্গে নিভিয়ে ফেলা হয় আগুন। মহড়ার অংশ হিসেবে আইসিসিবির নবরাত্রী হলের ছাদ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত অথবা আটকে পড়া ব্যক্তিদের কীভাবে উদ্ধার করা হয় তারও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়া শতাধিক ব্যক্তি উপভোগ করেন। এ ছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ি, অফিস কিংবা কারখানার নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী। ৩০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে মেলায়। প্রতিটি স্টলেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পানির পাম্প, ফিটিংসের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফায়ার টেলিফোন সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো শ্র্রমিক বা যে কেউ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় আটকা পড়লে উদ্ধারকারী বাহিনী ও অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে কোনো নম্বরে ডায়ালের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হবে এই ফায়ার টেলিফোন সিস্টেমের মাধ্যমে। স্পিকার হ্যান্ডসেট, মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ফিক্স হ্যান্ডসেট এই তিন ধরনের হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে। অন্যদিকে কন্ট্রোল প্যানেলটি স্থাপন করতে হবে নিরাপদ ফায়ার কন্ট্রোল রুমে। অগ্নিনিরাপত্তার মাল্টি সেন্সর, স্মোক ডিটেক্টর, ডুয়েল হিট ডিটেক্টর, আল্ট্রাভায়োলেট ফ্লেম ডিটেক্টর ও বিম ডিটেক্টর এসব পণ্যের মাধ্যমে কোথায় আগুন লেগেছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগুনের সংকেত দেবে যন্ত্রটি। একই সঙ্গে এড্রেসেবল ভয়েস অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার করবে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা। বিপদের সময় সবাইকে সঠিক পথ নির্দেশনা দেবে এই পদ্ধতি। এর মূল্য দুই লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আগুন নেভানোর জন্য পানি নিক্ষেপ করবে স্প্রিংলার যন্ত্রটি।