শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার বাসের ভিতর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, আহত ৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

এবার যাত্রীবাহী বাসের ভিতর র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত এবং আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। র‌্যাব বলছে, বাসের ভিতর যাত্রীবেশী ডাকাত ছিল। তাদের ধরতে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আর আহতরা বলছেন, তারা সে ফ বাসযাত্রী। র‌্যাব এসে পাঁচজনের পায়ে গুলি করে।

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা বারমাইল এলাকায় ঘটা এই কথিত বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে কুষ্টিয়া র?্যাব ক্যাম্পের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হতাহতরা বাসে ডাকাতি করতে গিয়েছিলেন। নিহত ব্যক্তির নাম সালাম। তার বাড়ি পাবনার আতাইকুলা থানা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ বাকি চারজন হলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আইনুল হক (২৮), খোকন (৪১), বেড়া উপজেলার দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও আলমগীর হোসেন (২৫)। এরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, কয়েকজন ডাকাত যাত্রীবেশে বাসে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে র?্যাবের একটি দল ভেড়ামারা-ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। তারা রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ভিতর তল্লা?িশ চালাতে যাচ্ছিলেন। তখন বাসের ভিতর থেকে কয়েকজন র?্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র?্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে পাঁচজনের পায়ে গুলি লাগে। পরে বাসের ভিতর থেকে একটি রিভলবার, একটি পিস্তল, আটটি গুলি, দুটি চাপাতি, দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। র?্যাব আহত পাঁচজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সালাম মারা যান। জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, পাঁচজনই ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সালাম এই দলের নেতা ছিলেন। গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ চারজন মেঝেতে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে খোকনের বাম পায়ে গুলি লেগেছে। আইনুল, দেলোয়ার ও আলমগীরের লেগেছে হাঁটুর ওপরে। আহত খোকন এ সময় জানান, ঢাকার পোশাক কারখানা থেকে শীতের কাপড় নিয়ে তিনি পাবনায় বিক্রি করেন। আইনুলও একই ব্যবসা করেন। তারা দুজন বাসে করে মাল কিনতে যাচ্ছিলেন। র?্যাব বাসে উঠে বলে আমাদের কাছে অস্ত্র আছে। এরপর তারা পায়ে গুলি চালায়। এদের মধ্যে আহত দেলোয়ার নিজেকে বাসচালক বলে পরিচয় দেন। তিনি সাভারের নবীনগরে ঢাকা-কুয়াকাটাগামী নবীনবরণ নামে একটি বাস চালান। সালাম তাকে ভেড়ামারায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভেড়ামারায় তার সঙ্গে দেখা করে তিনি ঢাকায় ফিরছিলেন। এ ছাড়া অপরজন আলমগীর আগে মেহেদি বিক্রি করতেন, এখন এলাকায় থাকেন। তিনিও দেলোয়ারের সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, র?্যাব বাসে উঠে তাদের কাছে অস্ত্র আছে কিনা জানতে চায়, এরপর গুলি ছুড়ে। হানিফ পরিবহনের কুষ্টিয়া টিকিট কাউন্টারের এক কর্মকর্তা বলেন, ভেড়ামারা থেকে ঢাকাগামী এসি বাসটি প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১টায় ছাড়ে। দুই মাস আগেও এই বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও জানান, ওই সময় গাড়ি চালক দেলোয়ার ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল।

সর্বশেষ খবর