বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী জশনে জুলুস ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে গত মঙ্গলবার ১২ রবিউল আউয়াল। রাজধানীতে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্ববাপী ‘কোটি কণ্ঠে মিলাদ শরিফ’ পাঠের আয়োজন করা হয়। মহানবী (সা.)-এর জন্মদিনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশাল এক জশনে জুলুস বের করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। মসজিদ, খানকা ও বিভিন্ন দরবার শরিফ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। বিকালে বঙ্গভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআন খানি, ফাতেহা খানি, কবর জিয়ারত ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশ : দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আনজুমানে রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীর উদ্যোগে জশনে জুলুস ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বক্তৃতা করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও আনজুমানের কেন্দ্রীয় সভাপতি আওলাদে রসুল (সা.) হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল মাইজভাণ্ডারী আল হাসানী আল হোসাইনী। তিনি বৈশ্বিক শান্তি ও জনস্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশসহ সব দেশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করার দাবি জানান। সমাবেশে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। কোটি কণ্ঠে মিলাদ শরিফ : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত কোটি কণ্ঠের মিলাদ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা। সাইয়াদুল আ’ইয়াদ শরিফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে তারা ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করে। আশেকান মাইজভাণ্ডারী অ্যাসোসিয়েশন : শাহজাহানপুর রেলওয়ে ময়দানে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে জশনে জুলুস বের করে। পরে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের গদিনশীন পীর হজরত মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে মাইজভাণ্ডারীর ভক্ত ও অনুসারী জশনে জুলুসে শরিক হন। আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহিদীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া : গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে জশনে জুলুসের আয়োজন করে। দেওয়ানবাগ শরিফ : বাবেরহমত দেওয়ানবাগ শরিফের উদ্যোগে আরামবাগে আশেকে রসুল (সা.) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের পীর সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী ভক্তদের নিয়ে একটি বিশাল কেক কাটেন। পরে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর ফকিরবাড়ী দরবার শরিফ : পীর আলহাজ হযরত সৈয়দ ফকির মুসলিম উদ্দীন আহমাদ উলুভীর নেতৃত্বে সকালে জশনে জুলুস (র‌্যালি) বের হয়। তরিকত ফেডারেশন : দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। এতে ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগ ধানমন্ডি-৩ নম্বরে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এবং বিএনপি নয়াপল্টনের কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

সর্বশেষ খবর