রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আত্মহত্যার পথই বেছে নিল ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গ্রন্থাগারিকের হাতে ধর্ষণের শিকার গোদাগাড়ীর দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী খালেদা খাতুন (১৪) কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দুপুরে কীটনাশক খেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল    কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার মৃত্যু হয়।

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, স্কুলছাত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহত খালেদা খাতুনের বাড়ি উপজেলার জৈটাবটতলা গ্রামে। তার বাবার নাম আলম হোসেন। জানা গেছে, ৩ নভেম্বর রাতে খালেদা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন স্কুলের গ্রন্থাগারিক শহিদুল ইসলাম (৩৮)। পরে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শহিদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। শহিদুল উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামে দাউদ আলীর ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ জানান, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, এ প্রতিবেদনের বিষয়টি জানার পর থেকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল খালেদা। স্কুলেও যেত না। লোকজন নানা কথাবার্তা বলার কারণে লোকলজ্জায় সে উপজেলার বালিগ্রামে তার নানার বাড়িতে থাকত। শুক্রবার সেখানেই সে কীটনাশক খায়। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, ‘কী কারণে খালেদা আত্মহত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর