সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এলো অতিথি পাখিরা

মোস্তফা কাজল, আশুলিয়া থেকে ফিরে

এলো অতিথি পাখিরা

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার ও আশুলিয়ার বিলে অতিথি পাখির ঢল নেমেছে। এ দুই এলাকা এখন পাখির কলতানে মুখরিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে ছুটে আসছে।

পাখি বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এসব পাখি দলে দলে ছুটে আসছে। এ সময় রাশিয়ার সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীনের জিনজিয়াং ও ভারত মহাসাগরে তীব্র শীত পড়ছে। হচ্ছে তুষারপাত। এই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। পাখিদের জীবন হয়ে পড়েছে বিপণ্ন। বাধ্য হয়ে এরা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম শীতের এই দেশে অতিথি হয়ে আসছে। শীত শেষে আবার এরা স্বদেশে ফিরে যাবে। সাভার ও আশুলিয়ায় সরেজমিনে দেখা গেছে,  উল্লেখযোগ্য অতিথি পাখির মধ্যে রয়েছে খয়রা, চখাচখি, বালিহাঁস, কার্লিউ, বুনোহাঁস, ছোটসারস, বড়সারস, কাদাখোঁচা, হেরণ এবং নিশাচর পাখি। আরও রয়েছে ডুবুরি, গায়করেন, রাজসরালি, পাতিকুট, গ্যাডওয়াল, পিনটেইল, নরদাম সুবেলার, কমনপোচার্ড, প্যালাস ফিশ ঈগল, ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, লেঞ্জা ও চিতি। গতকাল দেখা গেছে, আশুলিয়ার বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি বিচিত্র স্বরে ডাকাডাকি করছে। আকাশ জমিয়ে ঘুরছে শত শত পাখি। আর এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত মানুষ। স্থানীয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে পাখিপ্রেমীদের আগমনে এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে।

ওয়াকিবহাল কয়েকটি সূত্র মতে, অতিথি পাখির বিচরণভূমি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ বন-জঙ্গল কেটে উজাড় করে ফেলছেন। এতে পাখিরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় হারাচ্ছে। এই মৌসুমে কিছু অসাধুচক্র পাখি শিকারেও মেতে উঠেছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। সূত্র জানায়, অতিথি পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরা প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং প্রকৃতিকে বাঁচাতে পাখিকে বাঁচাতে হবে এবং এর জন্য দায়িত্বশীল সব মহলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর