মানিকগঞ্জে মধু সংগ্রহের ধুম পড়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৮০ জন মৌচাষি মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এসেছেন। তারা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, জেলায় এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। জানা গেছে, এসব সরিষা থেকেই মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদরের মুলজানে মধু সংগ্রহে আসা সেলিম রেজা জানান, তিনি ২০ দিন আগে সাতক্ষীরার কুসুলিয়া গ্রাম থেকে এসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে সব জমির সরিষার ফুল ফুটবে। তখন মধু সংগ্রহ বেড়ে যাবে। তিনি আরও জানান, মৌচাষ খুবই লাভজনক ব্যবসা। এবার এখান থেকে তিনি ৩০ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। প্রতি মণ মধু ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। মধু চাষ সম্পর্কে সেলিম জানান, পৃথিবীতে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চার প্রজাতির মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। তার খামারে রয়েছে মেলিফিরা বংশের মৌমাছি। এ মৌমাছি বেশি পরিশ্রমী হওয়ার কারণে বেশি মধু পাওয়া যায়। স্থানীয় সরিষা চাষিরা জানান, মৌমাছির কারণে ফলন বেশি হয়, আয়ও বেশি হয়। কারণ একদিকে সরিষা আবাদ থেকে আয় হয়, আরেক দিকে মৌচাষিদের সুযোগ দেওয়ায় তাদের কাছ থেকে বাড়তি আয় আসে।