মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইসলামপুরে নকল বসুন্ধরা পেপার মিলের সন্ধান

মেশিন জব্দ, গ্রেফতার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামপুরে নকল বসুন্ধরা পেপার মিলের সন্ধান

রাজধানীর নয়াবাজারে আওলাদ হোসেন রোডের একটি গোডাউনে গতকাল অভিযান চালিয়ে বসুন্ধরার নামে বাজারজাত করার জন্য রাখা বিপুল পরিমাণ নকল কাগজ জব্দ করে পুলিশ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় নকল বসুন্ধরা পেপার মিলের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ওই মিল থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ, বসুন্ধরা পেপার মিলের মোড়ক ও হলোগ্রাম স্টিকার জব্দ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নয়ন নামের কারখানার এক শ্রমিককে গ্রেফতারসহ কারখানার মেশিন, ৫০০ রিম কাগজ, ১৫০০ পিস হলোগ্রাম স্টিকার, ৩০০ কার্টন ও ১১০০ মোড়ক জব্দ করে। এ ঘটনায় বসুন্ধরা পেপার মিলের রিকভারি শাখার মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পেপার মিলের রিকভারি শাখার আশীষ সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র গোপনে নকল বসুন্ধরা পেপার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। এসব কাগজ কিনে প্রতারিত হচ্ছিলেন গ্রাহকরা। বসুন্ধরা ‘এ ফোর’ সাইজের কাগজ ৮০ জিসিএম হলেও উদ্ধারকৃত নকল এসব কাগজ ১০ থেকে ৬০ জিসিএম মানের। নয়াবাজার জিন্দাপার্ক থেকে ৫০০ গজ দূরত্বের মধ্যেই নকল পেপার কারখানার অবস্থান। গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ১১/৫ আশেক লেনের পাঁচতলা ভবনের মালিক স্থানীয় ডিস বাবুল। ওই ভবনের নিচতলায় খোকন নামের এক ব্যক্তি ছয় মাস ধরে নকল এ কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। জানা গেছে, বেশির ভাগ সময় রাতের বেলায়ই কারখানায় কাজ হতো। তবে বেশি অর্ডার হলে দিনেও কাজ হতো। বাড়ির মালিক ডিস বাবুলের দাবি, ওই কারখানায় যে বসুন্ধরা পেপার নকল হতো তা তিনি জানতেন না। গ্রেফতার নয়ন বলেন, ‘দুই মাস ধরে সাত হাজার টাকা বেতনে কারখানাটি দেখভাল করে আসছি। আমার মামা বিল্লালই আমাকে এখানে নিয়ে আসছিলেন। সাধারণত রাতের বেলায়ই কারখানায় কাজ হতো।’ ওই কারখানার পার্শ্ববর্তী এক দোকানের কর্মচারী মো. আনিস বলেন, ‘মাঝে মাঝে কারখানার মালিক আসতেন। তবে তারা আমাদের কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। কাগজের মিল এটাই শুধু আমরা জানতাম।’ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মূল প্রতারক খোকনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। খোকন ও বিল্লালকে গ্রেফতার করতে পারলে আরও তথ্য জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর