শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের পালা

তালিকা প্রস্তুত ও অনুসন্ধানে নেমেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা

আহমেদ আল আমীন

এবার পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের পালা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর প্রধান সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের অভিযুক্তরাও এখন আইনের আওতায় আসছেন। এবার পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের পালা। তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সূত্র জানিয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজিসহ তৎকালীন অন্তত ২০০ সামরিক কর্মকর্তার যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার, কর্নেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মেজর, ক্যাপ্টেন, এয়ার কমডোর, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, রিয়ার অ্যাডমিরালসহ ১৩ শ্রেণির কর্মকর্তার যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে তদন্ত সংস্থা। তিন বাহিনীর অভিযুক্ত সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যই বেশি।

উল্লেখ্য, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে সংঘটিত বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪৮ জন দণ্ডিত হয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। চূড়ান্ত বিচার শেষে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মতিউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। এ বিষয়ে সম্ভাব্য অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করে প্রাথমিকভাবে সে অনুযায়ী অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে এবং সরকারের নির্দেশনা পেলে আমরা আনুষ্ঠানিক তদন্তের দিকে যাব।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তান হানাদারদের এ-দেশীয় অন্যতম প্রধান সহযোগী গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত করেছেন এই মতিউর রহমান। তার নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম এখন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে রয়েছে। জানা গেছে, পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এখন বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে তদন্ত সংস্থা। তাদের বেঁচে         থাকা, বর্তমান অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সংস্থার অনুসন্ধানের আওতায় থাকা পাকিস্তানি সেই যুদ্ধাপরাধীরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি; মেজর জেনারেল নজর হুসাইন শাহ, মোহাম্মদ হুসাইন আনসারি, মোহাম্মদ জামসেদ, কাজী আবদুল মজিদ খান ও রাও ফরমান আলী; ব্রিগেডিয়ার আবদুল কাদির খান, আরিফ রাজা, আতা মোহাম্মদ খান মালিক, বশির আহমেদ, ফাহিম আহমেদ খান, ইফতিখার আহমেদ রানা, মনজুর আহমেদ, মনজুর হুসাইন আরিফ, মিয়া মনসুর মুহাম্মদ, মিয়া তাসকিন উদ্দিন, মীর আবদুল নাইম, মোহাম্মদ আসলাম, মোহাম্মদ হায়াত, মোহাম্মদ শফি, এন এ আশরাফ, এস এ আনসারি, সাদ উল্লাহ খান, সৈয়দ আসগর হাসান, সৈয়দ শাহ আবুল কাশেম ও তাজমল হুসাইন মালিক; কর্নেল ফজলে হামিদ, কে কে আফ্রিদি, মোহাম্মদ খান ও মোহাম্মদ মুশাররফ আলী; লে. কর্নেল আবদুল গাফফার, আফতাব এইচ কোরেশি, আবদুল রেহমান আওয়ান, আবদুল হামিদ খান, আবদুল্লাহ খান, আহমেদ মুখতার খান, আমির মোহাম্মদ খান, আমির নেওয়াজ খান, এ শামস উল জামান, আশিক হুসাইন, আজিজ খান, গোলাম ইয়াসিন সিদ্দিকী, ইশরাত আলী আলাভি, মুখতার আলম হিজাজি, মুস্তাফা আনোয়ার, এম আর কে মির্জা, মাতলুব হুসাইন, মোহাম্মদ আকরাম, মোহাম্মদ আকবর, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মুমতাজ মালিক, এম এম এম বায়িজ, মাজহার হুসাইন চৌহান, মুখতার আহমেদ সাইদ, মুস্তাফাজান, ওমান আলী খান, রিয়াজ হুসাইন জাভেদ, রশিদ আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ নাইম, সরফরাজ খান মালিক, এস এফ এইচ রিজভী, এস এইচ বোখারি, সৈয়দ হামিদ শফি, সুলতান বাদশা, সুলতান আহমেদ, এস আর এইচ এস জাফরি, এম ওয়াই মালিক, জাহিদ আগা খান, মেজর আবদুল গোফরান, আনিস আহমেদ, আরিফ জাভেদ, আতা মোহাম্মদ, আবদুল হামিদ, এ এস পি কোরেশি, আশফাক আহমেদ সিমা, আবদুল খালেক কায়ানি, আবদুল ওয়াহেদ মুঘল, আবদুল হামিদ খাত্তাক, আহমেদ হুসাইন খান, আনিস আহমেদ খান, আবদুল ওয়াহেদ খান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, গোলাম মোহাম্মদ, গোলাম আহমেদ, গজনফর আলী নাসির, হাদি হুসাইন, হাসান মুজতাবা, ইফতিখার উদ্দিন আহমেদ, ইফতিখার আহমেদ, শাহ মুহাম্মদ ওসমান ফারুকী, খুরশিদ ওমান, খুরশিদ আলী, খিজার হায়াত, মেহের মোহাম্মদ খান, এম আবদুল্লাহ খান, মোহাম্মদ আফজাল, এম ইসহাক, মোহাম্মদ হাফিজ রাজা, মোহাম্মদ ইউনাস, মোহাম্মদ আমিন, মোহাম্মদ লোদি, মির্জা আনোয়ার বেগ, এ এ কে লোদি, মদদ হুসাইন শাহ, মোহাম্মদ আইয়ুব খান, মোহাম্মদ শরিফ আফরাইন, মোহাম্মদ ইফতিখার খান, এম ইয়াহিয়া হামিদ খান, মোহাম্মদ ইয়ামিন, মোহাম্মদ গজনফর, মোহাম্মদ সরওয়ার, মোহাম্মদ সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফ, মোহাম্মদ আশরাফ খান, মোহাম্মদ সফদার, এম এম ইসপাহানি, মোহাম্মদ জামিল, মোহাম্মদ শফি, মোহাম্মদ আজিম কোরেশি, মোহাম্মদ জুলফিকার রাঠোর, মুস্তাক আহমেদ, নাসিরা খান, নাসির আহমেদ, রানা জাফর মহিউদ্দিন খান, রিফাত মাহমুদ, রুস্তম আলী, আর এম মুমতাজ খান, সরদার খান, মোহাম্মদ আজম খান, সাইফ উল্লাহ খান, এস টি হুসাইন, এস এম এইচ এস বোখারি, সাজিদ মাহমুদ, শের উর রেহমান, সালামত আলী, সাজ্জাদ আখতার মালিক, সলিম ইনায়েত খান, সুলতান সৌদ, সরফরাজ উদ্দিন, শওকতুল্লাহ খাত্তাক, সুলতান সুরখ্রো আওয়ান, সরফরাজ আলম, সরওয়ার খান, তাফাইর উল ইসলাম, জাউমুল মালুক, নিসার আহমেদ খান শেরওয়ানি, ফয়েজ মুহাম্মদ, মিয়া ফখরুদ্দিন ও নাদির পারভেজ খান; ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহেদ, আফতাব আহমাদ, আরিফ হুসাইন শাহ, আবরার হুসাইন, আমজাদ সাব্বির বুখারি, আওসাফ আহমেদ, আবদুল কাহহার, আশরাফ মির্জা, আবদুল রশিদ নায়ার, আমান উল্লাহ, আজিজ আহমেদ, গুলফরাজ খান আব্বাসি, ইকরাম হক, ইজাজ আহমেদ সিমা, ইফতিখার আহমেদ গন্ডাল, ইসহাক পারভেজ, ইকবাল শাহ, জাভেদ ইকবাল, জাহাঙ্গীর কায়ানি, কারাম খান, মানজার আমিন, মুজাফফর হুসাইন নাকভি, মোহাম্মদ সাজ্জাদ, মোহাম্মদ জাকির রাজা (মুহাম্মদ জাকার খান), মোহাম্মদ আরিফ, মোহাম্মদ আশরাফ, মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ জামিল, নইম সাদিক, শের আলী, সালমান মাহমুদ, সামশেদ সারওয়ার, শহিদ রেহমান, সালেহ হুসাইন, শওকত নেওয়াজ খান, জাহিদ জামান, হিদায়াত উল্লাহ খান, মোহাম্মদ সিদ্দিক, খলিল উর রহমান ও হাসান ইদ্রিস; লেফটেন্যান্ট মুনির আহমেদ বাট ও জাফর জং। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এয়ার কমডোর ইমাম উল হক খান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম এ মাজিদ বায়িজ ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট খালিল আহমেদ। পাকিস্তান নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শরিফ, কমডোর ইকরামুল হক মালিক ও খতিব মাসুদ হুসাইন।

সর্বশেষ খবর