শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ, নানা কৌশল

জেলা পরিষদ ভোটের বাকি আর তিন দিন

প্রতিদিন ডেস্ক

জেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকি। ফলে ভোট প্রার্থীরা নানা কৌশলে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কোথাও চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, কোথাও ভোটের হিসাব-নিকাশ, আবার কোথাও নানান প্রপাগান্ডাসহ ঘটছে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা। সব মিলে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : শেরপুর : শেরপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকারি দলে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন চলছেই। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংবাদ সস্মেলনের ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী  অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল হুইপের বিরুদ্ধে আনীত রুমানের অভিযোগ নাকচ করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আগেরদিন দলের বিদ্রোহী  প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমান হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে সরকারি সুবিধা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বরও এ দুই প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে চন্দন কুমার পাল বলেন, ‘আমার বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিশ্চিত জেনে রুমান আমাকে ঠেকাতে হুইপ আতিউর রহমানের নামে নানা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। আমি সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতাকে টেনে ভোটারদের তার পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছে। রুমান ভোটারদের ভুঁড়িভোজ করাচ্ছে, উপঢৌকন ও টাকা দিয়ে ভোট কিনছে।’ এসব অভিযোগের ব্যাপারে রুমান বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে আবোল তাবোল বলছেন। সরকারের ভিভিআইপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক আইনকে না মেনে অনৈতিকভাবে শেরপুরে অবস্থান করে চন্দন পালের পক্ষে সরকারি প্রকল্প দেওয়ার শর্তে ভোট চাইছেন— এমন কথপোকথনের অডিও রেকর্ড করে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার জোরে তিনি শেরপুরেই অবস্থান করছেনই।’

সিলেট : শেষমুহূর্তে জমে উঠেছে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনের লড়াই। বেড়ে গেছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। নির্বাচনী আলোচনায় শুরুর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদারের দিকে জনসমর্থনের পাল্লা ভারী থাকলেও এখন পাল্টাতে শুরু করেছে হিসাব-নিকাশ। সিলেটে মোট ভোটারের মধ্যে অর্ধেকই বিএনপি সমর্থক হওয়ায় এই ভোট ব্যাংকের দিকেই নজর বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। বিএনপির ভোটে যে প্রার্থী বেশি ভাগ বসাতে পারবেন, তিনিই শেষ হাসি হাসবেন বলে মনে করছেন নির্বাচক বিশ্লেষকরা। সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১৪৯৩ জন। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ মিলিয়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রায় অর্ধেকই বিএনপির সমর্থক। এজন্য আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে এসব ভোটারই কোনো প্রার্থীর বিজয়ে নিয়ামক হিসেবে কাজ করবেন। খোঁজ নিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, রাজনীতির মাঠে বিপরীত মেরুতে থাকা আওয়ামী লীগ শুরুতে টেনশনে ছিল বিএনপির ভোট ব্যাংক নিয়ে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়- এমন প্রচারণা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি সমর্থক ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তারা কিছুটা সফলও হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাজ করতেও দেখা গেছে। অপরদিকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক সরদারও বিএনপির ভোট ব্যাংক দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের পাশাপাশি জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তিনি দলটির ভোটারদের কাছে টানতে তত্পরতা চালাচ্ছেন। সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে মূলত লুত্ফুর রহমান ও এনামুল হক সরদারের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর বাইরে অপর দুই প্রার্থী জিয়া উদ্দিন আহমদ লালা ও ফখরুল ইসলামও চমক দেখানোর চেষ্টা করছেন।

এদিকে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হলেও ৩০ ভাগ দলীয় ভোটার থাকায় তুরুপের তাসটি রয়েছে বিএনপির হাতে। বিএনপি যদিও এই ভোটে অংশ নেয়নি, তবে স্থানীয় রাজনীতির নানা হিসাব-নিকাশের কারণে দলটির তৃণমূলের পদধারী জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। যে কারণে দুই প্রতিদ্বন্দ্বির মাঝে আওয়ামী লীগের দলীয় ভোটের ভাগাভাগি হওয়ার পর  জয়-পরাজয় নির্ধারণে বিএনপির ভোটাররা মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন বলে ওয়াকিফহালরা মনে করছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। তবে তার প্রতি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতেই রয়েছেন বিএনপির চেয়ারম্যান। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর মিলিয়ে জেলায় বিএনপির জনপ্রতিনিধির সংখ্যা সাড়ে তিনশর মতো।  এই সংখ্যা মোট ১২১৫ ভোটারের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগের মতো। ধারণা পাওয়া গেছে, ব্যারিস্টার ইমন আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটের দিকেই বিএনপির দলীয় ভোটারদের সমর্থন বেশি রয়েছে। দলটির অনেক জনপ্রতিনিধি মুকুটের পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারণায়ও রয়েছেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার ইমনের পক্ষে রয়েছেন জেলার কয়েকজন এমপি। তাদের মধ্যে মুহিবুর রহমান মানিক ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ইমনের বিজয় এবং মুকুটের পরাজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে রয়েছেন। নানা অছিলায় তারা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একের পর এক সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন টিআর, কাবিখা, কাবিটা ইত্যাদি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি। এই দুই এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগও করেছেন মুকুট। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে প্রয়াত সামাদ আজাদ বনাম সুরঞ্জিত সেনের মধ্যেকার অতীত দ্বন্দ্বের উত্তরাধিকার এখন নূরুল হুদা মুকুট ও ব্যারিস্টার ইমনের হাতে। তাদের পক্ষে- বিপক্ষে দ্বিধাবিভক্ত জেলার অপরাপর নেতারা। এক সময় মুকুটের বিপরীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুল থাকলেও এখন রয়েছেন মুকুটের পক্ষে। জগলুল বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। 

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। এ নির্বাচনে এক দম্পতির লড়াই  ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বাড়তি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৫০ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলা পরিষদের ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ‘হরিণ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামছুন্নাহার মিলি। ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ‘টিউবওয়েল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিলির স্বামী সাবেক দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান তায়েজুল ইসলাম। শামছুন্নাহার মিলি ও তায়েজুল সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাদের নির্বাচনী লড়াই  জেলাজুড়ে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনে এ দম্পতির জমা দেয়া হলফনামা সূত্রে জানা যায়, তায়েজুল ইসলাম অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও স্ত্রী শামছুন্নাহার মিলি বিএসএস পাস। তারা উভয়েই পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন।

বগুড়া : আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ায় জয়-পরাজয়ে জামায়াত-বিএনপির ভোটাররা ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভোট বর্জনও করেনি দল দুটো। সেই ক্ষেত্রে তাদের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই দুটি দলের ৪০ ভাগ অর্থাৎ প্রায় ৭০০ নেতা-কর্মী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। মূলত: তারাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবেন বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

জেলার ১২ উপজেলা পরিষদে ১২ জন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মোট ভোটার রয়েছেন ৩৬ জন। এদের মধ্যে বিএনপির ৭জন এবং জামায়াতের ৫জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই ১২ জন চেয়ারম্যানই মূলত: ৩৬ জন ভোটারকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

বগুড়া জেলায় পৌরসভা রয়েছে ১২টি। ১২ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ১৭২জন। ১২ মেয়রের মধ্যে ৫জন আওয়ামী লীগের, ৫জন বিএনপি এবং দুজন স্বতন্ত্র। মূলত: মেয়ররাই এসব ভোটের নিয়ন্ত্রক। মেয়ররা যাকে ভোট দিতে বলবেন, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা তাকেই ভোট দেবেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এর পরেই রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।

জেলার ১২ উপজেলায় ১০৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০৭ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার ১ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে ২২টিতে বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ১০৭টির মধ্যে ৫৪টিতে বিজয়ী হয়েছে। বিদ্রোহী হিসেবে আরও ১২টি ইউপিতে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। স্বতন্ত্র রয়েছেন ১৯ জন।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো নির্দেশনা আসেনি। ভোটে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই, তবে ভোটার আছে। তারা কী করবেন, সেটা জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সোলাইমান আলী মাস্টার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ২০৯ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৩৭০ জন।

বগুড়া জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির ভোটারাই জয়-পরাজয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের প্রায় ৪০ ভাগ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী। নির্বাচনে যারাই বিজয়ী হতে চাইবেন, তাদেরই জামায়াত-বিএনপির ভোটের প্রয়োজন হবে।   

উল্লেখ্য, বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ৫১জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সিরাজগঞ্জ : নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দেয়ালে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের কাউন্সিলর পদের চার প্রার্থীকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল দিনভর শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। অর্থদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ১৪, ১৫ ও ১৬ সংরক্ষিত আসনের মৌসুমী খান ৫ হাজার, সেলিনা মোশারফ হোসেন ৩ হাজার টাকা ও ১৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী শাহজাহান মিয়া ৩ হাজার ও আসাদ উদ্দিন ২ হাজার টাকা।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত  ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের  ঘোষণা সংক্রান্ত একটি চিঠি জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পাতায়  দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জহির রায়হান ওই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,  চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন না হলেও অন্যান্য পদে নির্বাচন যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর