রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
সুজনের সম্মেলন

সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে গতকাল সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন-২০১৬ সম্পন্ন হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত  হয়। এতে সারাদেশের ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান। উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি আবদুল মতিন, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বদরে আলম খান, ড. স্বপন আদনান, রাজনীতিবিদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী, খালেকুজ্জামান, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ। সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

সম্মেলনে এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুজনের অর্জন কম নয়। তবে সামগ্রিকভাবে আমাদের কিছু অপ্রাপ্তি আছে। আমরা দেখছি সাঁওতাল ও হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের কাজ চলমান রাখতে হবে। বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, সুশাসন তখনই হবে যখন তা হবে স্বশাসন। কারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ ও তা ভোটারদের মাঝে বিতরণ করা এবং দেশে তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুজন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, সুশাসনের সঙ্গে গণতন্ত্র, সাম্য ও স্বাধীনতার সম্পর্ক রয়েছে। সুজন দেশের সব প্রান্তের মানুষকে যুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের মানুষ সুশাসন ও গণতন্ত্র চায়। বক্তব্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, চারদিকে কবরের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় না। দেশে বর্তমানে ধনী-গরিব বৈষম্য রয়েছে, রয়েছে শ্রেণি বিভাজন। সরাসরি ইনকাম ট্যাক্স আরোপ না করে জনগণের ওপর পরোক্ষ কর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সবকিছুই যেন আজ পণ্য, সবকিছুর বাজারিকীকরণ করা হচ্ছে। তাই অধিকাংশ জনগণের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। খালেকুজ্জামান বলেন, সুশাসনের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্ক রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরু হয়েছিল সাম্য ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমাদের বর্তমান শাসন প্রক্রিয়া সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপরীত। ধর্মের অপব্যবহার চলছে। এ অবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশের সব প্রগতিশীল শক্তিকে একত্রিত হতে হবে।

সর্বশেষ খবর