সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বাউকুলের বাগানে লাভবান খয়ের

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বাউকুলের বাগানে লাভবান খয়ের

নবাবগঞ্জে কৃষকরা এক সময় ধান, গম, সবজি ও মসলা চাষের মধ্যে ছিল। বর্তমানে সময়ের বিবর্তনে তারা চাষাবাদে কিছু পরিবর্তন এনে অন্য ফসলের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে তারা বেশ লাভবানও হচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন ফলের বাগান। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাউকুলসহ নানা জাতের কুলের বাগান দেখা যাচ্ছে। এমনই একজন বাউকুল বাগান মালিক খয়ের মিয়া। খয়ের মিয়ার কুল বাগানের লাভ দেখে অনেকেই এ কুলের চাষে ঝুঁকেছেন। তার ভাষায় কুল বাগান করে যে অর্থ উপার্জন করে তা অন্য কোনো ফসল করে পাওয়া সম্ভব নয়। বাগান মালিক খয়ের মিয়া নবাবগঞ্জের কুশদহ ইউপির রহিমাপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ মিয়ার ছেলে। খয়ের মিয়া জানান, ৬/৭ বছর ধরে কুলের বাগান করে আসছেন। চলতি মৌসুমে তার ২৮ শতাংশ জমিতে রয়েছে বাউকুলের বাগান। বাগানে ১১৩টি গাছ রয়েছে। প্রতি বিঘায় কুল বাগানে খরচ হয় মোট ২৫/৩০ হাজার টাকা। প্রতি গাছে কুল আসে প্রায় ৩০ কেজি করে। কুল বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি দরে। সেই হিসাবে তিনি গত মৌসুমে ওই বাগান থেকে ৯০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন বলে জানান। শুধু তিনি নন তার প্রতিবেশী শাহাজুল ইসলাম ও আলতাব হোসেনসহ অনেকেই কুলের বাগান করেছেন। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, কৃষকরা আধুনিক ও সচেতন হয়েছে। তারা কোন ফসলে বেশি মুনাফা আসে তা নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন। উপজেলায় বাউকুল, আপেল কুল ও নারিকেল কুলের ১২ হেক্টর জমির ওপর ৪০টি বাগান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর