শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হত্যার পর বালুর বস্তা বেঁধে পানিতে ফেলে দেওয়া হয় কপিলকে

১০ দিন পর ‘বন্ধু’ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আইটি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কপিল বাড়ৈ (২০) হত্যার অভিযুক্ত প্রধান আসামি নাজমুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১৯ ডিসেম্বর বারিধারার জে ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্ক থেকে কপিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। ভাটারা কালীমন্দিরের পূর্বপাশের একটি বাসায় মেস করে থাকত সে। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজের ঘটনায় পরদিন ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। 

লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কপিল নিখোঁজ হওয়ার দিনই তাকে হত্যা করা হয়। আর লাশ গুম করার জন্য কপিলের কোমরের সঙ্গে বালুর বস্তা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল।

গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, বুধবার রাতে সিলেটের শাহ পরান থানার মুরাদপুর এলাকা থেকে নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়। কপিল ও নাজমুল দুজনই পূর্বপরিচিত ছিলেন। কপিলের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য নাজমুল তাকে অপহরণ করে। অপহরণের পর তাকে বারিধারার জে-ব্লকের নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে রাখা হয়। টাকা না পেয়ে ওই ভবনে হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ডুবিয়ে তার লাশ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি এখনো জানে না মামলার বাদী প্রণব বাড়ৈ। জানতে চাইলে তিনি বলেন,  নাজমুলকে আমি তেমন চিনি না। তাকে গ্রেফতারের বিষয়েও পুলিশ আমাকে কিছু বলেনি। এখন আমি বাড়িতে আছি তাই মামলার সার্বিক খোঁজখবর নিতে পারছি না। এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিন জানান, এটা ডিবি করেছে। আমি কিছু জানি না এবং আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

সর্বশেষ খবর