সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে টাকা আদায়!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার পরাজিত মেম্বার প্রার্থীরা  ভোটারদের গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে ভোটের আগে দেওয়া টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি  তারা ফেল করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকির মাধ্যমে দেওয়া শাড়ি, লুঙ্গি ও উপহারসামগ্রী ফেরত নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে  মেম্বার প্রার্থী পলাশ, মিজান, জাহাঙ্গীর, ইবনে সিনা একই ওয়ার্ডে ভোট কেনার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন। তারা কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নে  ভোটার কলিম উদ্দিন, আমজাদ, আনোয়ার, টোকন, মকলেচুর রহমান লাল্টু, ইকতার হোসেন ও নজরুল ইসলাম মেম্বারকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দেয়। সুচতুর ভোটাররা টাকা আদায়ের জন্য কলিম উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন সেভেন স্টার গ্রুপ। এই গ্রুপ প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন (তালা মার্কা) ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল কলিম উদ্দিন মেম্বারকে কুমড়াবাড়ীয়া বাজারে গাছের সঙ্গে বেঁধে টাকা আদায় করেন। বাকি পরাজিত প্রার্থীরা টাকা আদায়ের জন্য মেম্বারদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ফলে ইউনিয়নে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আশরাফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমি প্রার্থী ও ভোটার উভয়ের শাস্তি দাবি করছি। এ ছাড়া ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক মেম্বার পদে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। মোজাম্মেল হক ভোটে জয়লাভ করার স্বার্থে বিভিন্ন মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। লাখ লাখ টাকা খরচ করে মোজাম্মেল হক ভোটে ফেল করেন। পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৈডাঙ্গা চাঁদপুরের মিন্টু মেম্বারকে দিয়ে বিভিন্ন মেম্বারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে তার ভোট কেনার টাকা আদায়ের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু এ দুটি ইউনিয়ন নয়, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটছে।

সর্বশেষ খবর