বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রেলের সেই মৃধার বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলে নিয়োগ দুর্নীতির সাতটি মামলায় দায়মুক্তি পেলেও অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে এসেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধার নাম। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের প্রধান কার্যালয় সূত্র বলেছে, রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অধিকতর তদন্তে মৃধা আসামির তালিকায় এসেছেন। সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে করা সাত মামলার নথি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান। নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির এই সাত মামলায় মৃধাকে দায়মুক্তি (অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি) দেয় দুদক। এজাহারভুক্ত আসামি হলেও সহকারী লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক), গুডস সহকারী, রেকর্ডকিপার, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার, কোর্ট ইন্সপেক্টরসহ নিয়োগে অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মোট সাত মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম বাদ দেয় দুদক। দুদক সূত্র বলছে, রেলে রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালে মামলা করে দুদক। ওই মামলার তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তদন্ত শেষে মৃধাকে অব্যাহতি দিয়ে আসামি করা হয় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) গোলাম কিবরিয়া ও রেকর্ডকিপার সারওয়ার হোসেনকে। অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে নথি ফেরত আসার পর উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন গতকাল অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হতে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জাল রেকর্ড তৈরির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ ও অনুমোদন করেছেন অভিযুক্তরা। অন্য মামলাগুলোর অধিকতর তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যে কোনো সময় এসব মামলার বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানা যাবে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে টাকার বস্তাসহ আটক হন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। মৃধা পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক থাকার সময় রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মৃধা কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর