শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় বাণিজ্য মেলায়

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় বাণিজ্য মেলায়

বছরের প্রথম ছুটির দিনে হালকা কুয়াশা আর কাঁচা রোদ গায়ে মেখে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধব মিলে মেলায় ভিড় করেছেন রাজধানীবাসী। শিশুদের হৈ-হুল্লোড় আর তারুণ্যের কোলাহলে গতকাল সরব ছিল ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। ছুটির দিন হওয়ায় বেলা ১১টা থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকেন দর্শনার্থী। বিকালেই বাড়তে থাকে ভিড়। সন্ধ্যায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এ সময় টিকিট কাউন্টারগুলোয় দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর শেরেবাংলানগরে মেলার স্টলগুলোয় ছিল ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন সাজানো উপকরণগুলো। শিশুদের পছন্দের তালিকায় ছিল খেলনার দোকান। রিমোট কন্ট্রোল ও ব্যাটারিচালিত খেলনাসামগ্রী বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। আর তরুণীদের বেশির ভাগকেই দেখা গেছে সালোয়ার-কামিজের দোকানে ভিড় জমাতে। মেলায় হাতে কাজ করা বাহারি পোশাক আর মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় লুফে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ধানমন্ডি থেকে আসা মাহমুদা সুলতানা বলেন, ‘শোরুমগুলোয় এ ধরনের পোশাক কিনতে গেলে প্রায় হাজার টাকা গুনতে হবে। কিন্তু প্রায় অর্ধেক দামেই তা মেলায় পেয়ে যাচ্ছি। আর অনেক দোকান ও কালেকশন বেশি থাকায় দেখেশুনে পছন্দমতো জিনিস কিনতে পারছি। বিক্রি বেশি হওয়ায় দাম একটু কম হলেও পুষিয়ে যাচ্ছে বিক্রেতাদের।’ ছুটির দিনে ভিড় কেমন— জানতে চাইলে পোশাক বিক্রেতা মঈন আলী বলেন, ‘তিন বছর ধরে বাণিজ্য মেলায় দোকান বসাই। প্রতি বছরই দেখি শুক্রবার ক্রেতার ভিড় যেমন বেশি থাকে বিক্রিও হয় কয়েক গুণ। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি।’ সন্তোষজনক বিক্রি হওয়ায় খোশ মেজাজে দেখা যায় তাকে ও দোকানের অন্যদের।

নারীদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বাসাবাড়ির সাজসজ্জায় ব্যবহার হওয়া শৌখিন সামগ্রীর দোকানে। বিভিন্ন রকমের হাতে তৈরি পণ্য কিনছেন তারা। ফুলদানি ও শোপিসগুলো ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে বলে জানান হ্যান্ডিক্র্যাফট বিক্রেতা রইস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে আমরা বেশকিছু নতুন ওয়াল শোপিস তৈরি করেছি।

 অন্য দিন তেমন বিক্রি না হলেও আজ সব বিক্রি হয়ে গেছে। তাই নতুন করে অর্ডার করতে হবে আমাদের।’ মেলায় শৌখিন সামগ্রীর প্যাভিলিয়নে টেবিলমেট কিনতে আসা ক্রেতা লুত্ফুন্নেসা বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাই মিলে বাড়ির দরকারি টুকিটাকি জিনিসগুলো কিনতে এসেছি। আর এসব বাহারি জিনিস মেলা ছাড়া পাওয়াও দুষ্কর।’

বিকালে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত প্রহরী মনিরুজ্জামান জানান, অন্য দিন মেলায় তেমন ভিড় ছিল না। কিন্তু আজ (গতকাল) সকাল থেকেই ভিড় লক্ষণীয়। বিকালের পর ভিড় সামলে টিকিট বিক্রি করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে আয়োজকদের।

সর্বশেষ খবর