বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

যুবলীগের ব্যাপক শোডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবলীগের ব্যাপক শোডাউন

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় লাল সবুজের পতাকা নিয়ে যোগ দেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীতে ব্যাপক শোডাউন করেছে যুবলীগ। গতকাল বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক জনসভাকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মাথায় থাকা সবুজ ক্যাপ, গায়ে সবুজ গেঞ্জি এবং সংগঠনের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যখন সভামঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন তখন পতাকা নেড়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের অর্ধলক্ষ নেতা-কর্মী। জনসভাস্থলের সামনে সিংহ ভাগ অংশ জুড়ে ছিল যুবলীগ। এর নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। অন্যদিকে মাথায় হলুদ ক্যাপ পরে জনসভায় উপস্থিত হন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। উত্তরের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উত্তরের শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকাল তিনটায় আওয়ামী লীগের এই জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন থেকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাদ্যযন্ত্রের বাজনাসহ দৃষ্টিনন্দন মিছিল নিয়ে প্রবেশ করতে থাকে। বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের মিছিল আসতে দেখা গেছে। যুবলীগের এত বড় শোডাউন অতীতে কখনোই দেখা যায়নি বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মন্তব্য করেছেন। জানা গেছে, জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ কয়েক দফা বৈঠক করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে। দলীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ৪০ হাজার ক্যাপ এবং ২৫ হাজার গেঞ্জি বিতরণ করেন। গতকাল সেসব গেঞ্জি গায়ে, মাথায় ক্যাপ এবং হাতে সংগঠনের পতাকা নিয়ে প্রায় অর্ধলাখ নেতা-কর্মী অংশ নেয় ঐতিহাসিক জনসভায়। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যুবলীগের দক্ষিণের নেতারা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নেতৃত্বে পতাকা নেড়ে, কখনো করতালি দিয়ে জনসভাকে মাতিয়ে রাখেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে জনসভায় যোগদান করতে আসা আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল হাসান লিটন বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নাকি যুবলীগের জনসভা বোঝা মুশকিল। তিনি বলেন, আমি অনেক জনসভায় যোগদান করেছি- কিন্তু আজকের মতো যুবলীগের শোডাউন কখনো দেখিনি। বক্তৃতায় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বিশাল লোকসমাগম করায় যুবলীগ দক্ষিণ ও উত্তরকে ধন্যবাদ জানান। একইভাবে বিশেষভাবে যুবলীগকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুবলীগ জাতির জনকের হাতে গড়া সংগঠন। সেই জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থিত থেকে জনসভাকে দৃষ্টিনন্দন করেছি। আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভাকে সফল করতে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আমরা ৪০ হাজার ক্যাপ, ২৫ হাজার গেঞ্জি দিয়েছিলাম নেতা-কর্মীদের। তারা সেসব পরেই জনসভায় হাজির হয়েছিলেন। এ ছাড়াও যুবলীগ দক্ষিণের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল যারা গেঞ্জি, ক্যাপ কোনটাই পায়নি। ঐতিহাসিক এই জনসভাকে দৃষ্টিনন্দন করায় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যুবলীগের উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে জনসভায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গতকালের শোডাইন ছিল দৃষ্টিনন্দন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, গতকালের জনসভাকে দৃষ্টিনন্দন এবং এত লোকসমাগম সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের কঠোর নির্দেশের কারণেই।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর