শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

উত্তরায় গ্রেফতার ৪, লাপাত্তা ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবিরকে হত্যায় জড়িতদের মধ্যে নয়জনই  লাপাত্তা রয়েছে। তবে এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো— সাদাফ জাকির, নাফিজ আলম ডন ও মেহরাব হোসাইন। এদের একজন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মেহরাব হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া জাকিরকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে ডন। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের পর ডন ও জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে ডনকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডনের কাছ থেকেই মেহরাবসহ এজাহারে অজ্ঞাত থাকা সব হামলাকারীর নাম-ঠিকানা পেয়েছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সোমবার রাতে মেহরাবকে গ্রেফতার করা হয়। মেহরাব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে, নাঈমুর রহমান অনিকের নেতৃত্বেই আদনানকে হত্যা করা হয়। কিশোর-তরুণদের এই কিলিং মিশনে অনিকের সঙ্গে ১৮-২০ জন অংশ নেয়। তাদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল লাঠিসোঁটা, রড। তবে অনিকসহ কয়েকজনের হাতে ছিল হকিস্টিক ও চাপাতি। আধিপত্য বিস্তার এবং গ্রুপিংয়ের জের ধরে স্কুলছাত্র আদনানকে হত্যা করা হয়। আদনানকে হত্যার কিছু দিন আগে আদনানসহ তার নাইন স্টার গ্রুপের বন্ধুরা ডিসকো গ্রুপের সাদাফ জাকিরকে মারধর করে। এ ঘটনার পর থেকেই আদনান ও তার বন্ধুদের উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত ছিল ডিসকো গ্রুপের সদস্যরা। ঘটনার দিন ডিসকো গ্রুপের ১৮-২০ জন সদস্য উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠ এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় অনিকের হাতে হকিস্টিক ছিল। অন্য সবার হাতেই রড, লাঠিসোঁটা ছিল। জাকিরের হাতে ছিল চাপাতি। হামলাকালে আদনানের বন্ধুরা দৌড়ে চলে গেলেও আদনানকে তারা ১৭ নম্বর সড়কে আটকে মারধর করে। এ সময় হকিস্টিক দিয়ে আদনানকে আঘাত করে অনিক। চাপাতি দিয়ে আঘাত করে জাকির। এ ছাড়াও অন্যরা লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে আদনানকে আঘাত করে। আঘাতে এক সময় আদনান নিস্তেজ হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সর্বশেষ খবর