বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাম্প্রদায়িক ও ভুলেভরা বই প্রত্যাহারের দাবি

এনসিটিবির সামনে বিক্ষোভ ১৫ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বছরের প্রথম দিন বিতরণ করা বই সাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমূলক এবং ভুলেভরা হওয়ায় তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ দাবিতে তারা ১৫ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। ‘পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণাকল্পে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য দেন উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান সাগর, চলচ্চিত্রকার মশিউদ্দিন শাকের, ভাস্কর রাসা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হলেও বইয়ের মলাটের ভিতরে মৌলবাদী পরিকল্পনায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্প্রদায় ও জাতিগত বৈষম্য এবং নারী-পুরুষের বৈষম্য। ফলে এ উৎসব আর বই উৎসব থাকেনি, তা পরিণত হয়েছে মৌলবাদীদের অট্টহাসিতে। সরকার একদিকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে, অন্যদিকে পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে জঙ্গিবাদের সুপ্ত উপাদান। পাঠ্যপুস্তকে সুপরিকল্পিতভাবে যে সাম্প্রদায়িকতার চাষ হচ্ছে তা ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে জঙ্গিবাদের আরও ভয়াল অন্ধকারে। সাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমূলক ও ভুলেভরা পাঠ্যবই প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধানের চার মূলনীতির ভিত্তিতে পাঠ্যবই প্রণয়ন করতে হবে; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন শাহ, সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, এস ওয়াজেদ আলী, হুমায়ুন আজাদসহ বিভিন্ন লেখকদের লেখা সংযোজন করতে হবে; পাঠ্যপুস্তকের বানানের জন্য স্থিতিশীল বানান কাঠামো প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টায় এনসিটিবি ভবন এবং জেলায় জেলায় শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ খবর