বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এক নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম লুত্ফর রহমান সাবু (৫০)। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোরস্থানের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

জানা গেছে, ঘটনার পরপরই ওই ইউনিয়নের জাসদ সমর্থিত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেড়টার দিকে হালসা বাজারে ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে পাশের আলমডাঙ্গা উপজেলায় যাচ্ছিলেন লুত্ফর রহমান সাবু। আমবাড়িয়া গোরস্থানের কাছে পৌঁছলে গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। জানা গেছে, সাবু গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও মিরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

সাবুর ভাই হাবিব দাবি করেছেন, বিএনপি থেকে সাবুর আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া মেনে নিতে পারেননি আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাসদ নেতা মশিউর রহমান মিলন। এ কারণে মিলন চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে সাবুকে হত্যা করিয়েছেন। ফলে উত্তেজিত লোকজন চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দেন। তবে মশিউর রহমান মিলন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি উপজেলা সদরে উন্নয়ন মেলায় ছিলাম। তা ছাড়া সাবুর সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। গত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে আমাকে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সাবু খুনের ঘটনাটি এ ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবু খুনের পরপরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারী টুটুলের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।’ উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারী টুটুল গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে লড়ে মিলনের কাছে পরাজিত হন। এ নির্বাচনের পর থেকে দুই নেতার মধ্যে রেষারেষি চলে আসছে। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এলাকায় উত্তেজনা থামাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করতে তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর