শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

চসিককে আত্মনির্ভরশীল করতে চান নাছির

চসিককে আত্মনির্ভরশীল করতে চান নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রথম চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণরূপে বর্জ্যমুক্ত নগর প্রতিষ্ঠা। একই সঙ্গে খানা-খন্দমুক্ত প্রধান সড়ক এবং এলইডি লাইট দিয়ে সড়কের শতভাগ আলোকায়ন করা। তা ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন, প্রশাসনের সর্বত্র শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, চসিককে আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে চসিক মেয়র কাজ করছেন বলে জানা যায়।  চসিক সূত্রে জানা যায়, বর্জ্যমুক্ত নগর গড়তে একটি মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৪১ ওয়ার্ডকে শতভাগ বর্জ্যমুক্ত করতে তিন মাস মেয়াদের পাঁচ দফা পদক্ষেপভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রথম দফায় গত ১ জানুয়ারি থেকে সাতটি ওয়ার্ডে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১ মার্চ থেকে ৪টি ওয়ার্ডে ‘ডোর টু ডোর’ বর্জ্য সংগ্রহ সম্পন্ন করা হবে। পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করতে লাগবে ১০ লাখ বিন। ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫ লাখ, দুই দফা দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হবে আরো ৫ লাখ বিন। এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে লাগছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, চসিক ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরের সব সড়কে এলইডি লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে কাজীর দেউড়ি থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত আলোকায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২৮ কোটি টাকার পৃথক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত বিশ্বমানের একটি নগর প্রতিষ্ঠা। আগামী এপ্রিলের পর থেকে নগরে আর কোনো ডাস্টবিন থাকবে না। একই সঙ্গে নগরের সড়কগুলো এলইডি লাইট দিয়ে শতভাগ আলোকায়ন এবং প্রধান প্রধান সড়ক সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা আমার প্রথম অগ্রাধিকার। এসব কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তা ছাড়া জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন, হকারমুক্ত ফুটপাথ, চসিকের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, শতভাগ নিয়মনীতির মাধ্যমে চসিক পরিচালনা করাই আমার লক্ষ্য। তিনি বলেন, বিভিন্ন মেয়াদে নির্দিষ্ট ৩৬টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। তিন বছরের মধ্যে এ সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু কাজ শুরু হয়েছে।       

চলমান কাজ প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পোর্ট কানেকটিং রোড হয়ে এ কে খান মোড় পর্যন্ত সড়ক এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে ছোটপুল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ-সংস্কার কাজ চলছে। তা ছাড়া নগরের প্রধান প্রধান বেশকিছু সড়কের সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং কিছু চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে নগরের সড়কের দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে। 

সর্বশেষ খবর