শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম রেল লাইনে এবার বাঁশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম  রেল লাইনে এবার বাঁশ

মৌলভীবাজারের মনু রেলসেতুতে রেললাইনের স্লিপারের ওপরে বাঁশ ব্যবহারের খবর প্রকাশের রেশ না কাটতেই এবার লালমনিরহাটের তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামগামী রেলপথের বিভিন্ন জায়গায় কাঠের স্লিপারের ওপর বাঁশ এবং লাইনের উভয়দিকে গাছের সরু ডাল ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমনিরহাট তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেলপথের টোগরাইহাট স্টেশনের প্রায় ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে যোতগোবরধন এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৫০ মিটার রেলসেতুর ওপর রেললাইনের উভয়দিকে কাঠের স্লিপারের ওপর দিয়ে সরু বাঁশের ফালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে  লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পশ্চিমে ত্রিমোহনী মুক্তারাম এলাকায় অবস্থিত রেলের একটি বক্স কালভাটের ওপর কাঠের স্লিপারে। লালমনিরহাট রেল বিভাগ সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামের রমনা পর্যন্ত প্রায় ৫৯ কিলোমিটার রেলপথের বেশিরভাগ স্লিপার নষ্ট এবং রেললাইন অনেক পুরনো ও নিম্নমানের। এই রেলপথের অনেক জায়গায় রেললাইনের সংযোগস্থলের প্রয়োজনীয় নাট-বোল্টও নেই। এমনকি কোথাও কোথাও রেললাইনে প্রয়োজনীয় স্লিপার ও লোহার ক্লিপের পরিবর্তে গাছের সরু ডালের টুকরো গেঁথে দিতে দেখা গেছে। এর ফলে সেখানে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেল বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা নেই। মিস্ত্রিরা কাজের সময় এটি করেছে। আর সবসময় চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপকরণ পাওয়া যায় না বলে এটা আমরা স্থানীয়ভাবে লাগিয়েছি।’ রেলের ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই রেলপথে গত কয়েক বছর ধরে ২৫ কি.মি. গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। রেললাইন সংস্কারের জন্য কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব করা হলেও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই রেললাইন সোজা রাখার জন্য গাছের ডাল ব্যবহার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর