শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রসরাজের মুক্তি চাইল অ্যামনেস্টি

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট  দেওয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের পর ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আটক রসরাজ দাসের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে। রসরাজকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তার মুক্তির দাবি জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর রসরাজ দাসকে  গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তিনি একজন নিরক্ষর মৎস্যজীবী। ফলে তার পক্ষে এটি করা দুরূহ। অ্যামনেস্টি জানায়, বিষয়টি তদন্ত করে গত ২৮ নভেম্বর পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রসরাজ দাস ওই ছবি আপলোড করেননি। তার অ্যাকাউন্ট অন্য কেউ ব্যবহার করে ছবিটি প্রকাশ করে। আরেক প্রতিবেদনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও জানিয়েছে, ওই ছবি প্রকাশের সঙ্গে রসরাজ দাসের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু দোষ না থাকা সত্ত্বেও রসরাজ দাসকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এখনো তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় মামলা করে। এ মামলায় রসরাজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মিয়ানমারে আটক রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের আশঙ্কা : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আটক শত শত রোহিঙ্গার ওপর নির্যাতনের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে শত শত  রোহিঙ্গাকে ‘নিরাপত্তা অভিযানের’ নামে আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত আটক ওই ব্যক্তিদের কোথায় রাখা হয়েছে বা তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। আটক  রোহিঙ্গারা নির্যাতনের ঝুঁকি ছাড়াও চিকিৎসা না পাওয়া এবং সঠিক বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। অ্যামনেস্টি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আটক রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানানোর পাশাপাশি তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৮৫ জনকে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আছে গঞ্জামের নেতা, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতা, আরবি শিক্ষকসহ গ্রামের সাধারণ মানুষ। অ্যামনেস্টির দাবি, রোহিঙ্গা পরিবারের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আটকের পর তাদের স্বজনরা কোথায় আছে তা তারা জানেন না।

সর্বশেষ খবর