সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
নোয়াবের আলোচনা

প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ না বাড়ালে পিছিয়ে পড়বে গণমাধ্যম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে না পারলে পিছিয়ে পড়বে গণমাধ্যম। বর্তমানে গণমাধ্যমের গন্তব্য ডিজিটালের দিকে। খবরের জন্য পাঠকের নির্ভরতা এখন স্মার্টফোনের ওপর। কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করতে অনেক গণমাধ্যম কর্মীই হিমশিম খাচ্ছেন। গতকাল বিশ্ব গণমাধ্যমের গতি প্রকৃতি, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে এক আলোচনায় এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (ইনমা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আর্ল জে উইলকিনসন। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই আলোচনার আয়োজক ছিল নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসভিত্তিক সংস্থা ইনমার বিশ্বের ৬৩টি দেশে ৬১৪টি প্রতিষ্ঠানের সাত হাজার ৬৯৩ সদস্য রয়েছে। গতকালের আলোচনায় উইলকিনসনের সঙ্গে আরও ছিলেন ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা (এবিপি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডি ডি পুরকায়স্থ। উইলকিনসন বলেন, মার্কিন নির্বাচনের পরে গণমাধ্যমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এখন গণমাধ্যমগুলো আত্মানুসন্ধানের কাজ করছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সংবাদ অনেকটাই পণ্য হয়ে গেছে। ফেসবুকের মতো সাইটগুলো গণমাধ্যম নয়। সেখানে সবাই কনটেন্ট দেন, সবাই নিজেকে রিপোর্টার কিংবা সম্পাদক মনে করেন। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো, নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা। সারা বিশ্বের সংবাদপত্র এখন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডি ডি পুরকায়স্থ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযুক্তি ও সংবাদমাধ্যমের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ভারতে ইংরেজি সংবাদপত্রের পাঠকসংখ্যা কমছে। শহুরে তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারের কারণে তারা ছাপা পত্রিকার চেয়ে অনলাইনেই খবর পড়তে চান। ভারতীয় বাংলা সংবাদপত্রগুলোও গত তিন বছর ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। পাঠক সংখ্যা সেভাবে বাড়ছে না। আনন্দবাজার পত্রিকার নীতিমালায় এখন পাঠকের পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাঠক যা চান তাই দিচ্ছি আমরা। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে ডিজিটাল বিভাগ চালুর কথাও তুলে ধরেন তিনি। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন নোয়াবের সহসভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। আলোচনায় আরও অংশ নেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দীন আহমদ, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান ও প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ, ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিষ সৈকত প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর