বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

গুলিস্তানে সংঘর্ষ অব্যাহত

অফিস সময় ফুটপাথে হকার চান না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তান-বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-পল্টন এবং মতিঝিল এলাকার ফুটপাথ ও সড়ক হকারমুক্ত করতে গতকালও তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির অবৈধ উচ্ছেদের মধ্যেও মুক্তাঙ্গন দখল করে রেখেছে পল্টন থানা আওয়ামী লীগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখা। তবে দিনের বেলায় উচ্ছেদ অভিযানে বুল-ডোজারের ভয়ে ফুটপাথ ও সড়কে হকারদের দোকান বসাতে দেখা যায়নি। বেলা ১১টার পর ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়। এ সময় নির্ধারিত এলাকার ছোটখাটো অবৈধ বেশকিছু স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুটপাথের মালামাল ভাঙচুরের প্রতিবাদে পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে হকাররা। আজ বেলা ১১টায় মুক্তিভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। সম্মেলনে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতারা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে হকার সমন্বয় পরিষদ। সমাবেশে বক্তারা মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উচ্ছেদ বন্ধ করুন। পুনর্বাসনের নীতিমালা প্রণয়ন করুন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী হকার পুনর্বাসন করুন।  ডিএসসিসির সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হকার নিয়ন্ত্রণে মেয়রের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রের সড়ক ও ফুটপাথ জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। হকার উচ্ছেদ প্রতিক্রিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কামরুল নামের এক কর্মকর্তা জানান, স্টেডিয়াম এলাকা থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত আসতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকত। এখন হকার না থাকায় সকাল বেলায় নির্বিঘ্নে অফিসে আসা যায়।

মুক্তাঙ্গনও রেহাই পাচ্ছে না দখলদার থেকে : রাজধানীর ফুটপাথ দখলমুক্ত করাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনকেও দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে নগরবাসী। অভিযোগ রয়েছে, মুক্তাঙ্গনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আধুনিক টয়লেটের উত্তরপাশে ঘেঁষে বসানো হয়েছে পল্টন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এর আশপাশ সাজানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ দিয়ে। সেখানকার এক চা দোকানদার বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে আধুনিক টয়লেটের কাজ সম্পন্নের পরই সেটি বসানো হয়েছে। আর তা করেছে আবুল কালাম, জাবেদ ও সুমন নামের স্থানীয় নেতারা। কার্যালয়টি ঘিরে রাখা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তবা জামান পপির ছবিসহ বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানারে। গতকাল গণমাধ্যম কর্মীরা ওই কার্যালয়ের ছবি তুলতে গেলে সেখানে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসেন। 

সর্বশেষ খবর