বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইল ওআইসি

প্রতিদিন ডেস্ক

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন ও তাদের বিতাড়ন বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আজ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিশেষ বৈঠকে বসছে ওআইসি (ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা)। এদিকে মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওআইসির বিশেষ দূত সাইদ হামিদ আলবার এ বিষয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নতুন করে সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ জরুরি। গত বছরের ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন ৬৬ হাজার লোক। তাই এখন আর এটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এখন এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে  গঠিত ওআইসির এই দূত আজকের বিশেষ বৈঠকের আগে আরও বলেছেন, দেশটির উচিত ‘উগ্রবাদ ও সহিংসতা উসকে না দিয়ে’ নিজেদের রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে মন দেওয়া। আমরা কলম্বিয়া ও রুয়ান্ডার মতো আরেকটি গণহত্যা দেখতে চাই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু দেখছে। আর কত মানুষ মরবে? আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আমাদের কাজ হলো সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কী করতে পারি তা করা।

বৈঠকে যাবেন না মিয়ানমারের মুখপাত্র : ওআইসির আজকের বিশেষ বৈঠকে যোগদান করা সম্পর্কে মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জো হেতে জানিয়েছেন, তারা এ বৈঠকে যাবেন না। কারণ তারা কোনো ইসলামী রাষ্ট্র নয়। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে আসিয়ান বৈঠকে দেশটি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জো হেতে আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ স্থানীয় লোকজনের অবাঞ্ছিত প্রতিরোধের মুখে শেষ হয়ে যাবে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে এবং আমাদের দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতিকে বিশদভাবে বুঝতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন সরকার রাখাইন পরিস্থিতি গুরুত্ব ও যত্নের সঙ্গে দেখছে। আমরা খুবই জটিল ও কঠিন সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে আর সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের সময় প্রয়োজন।’

সর্বশেষ খবর