বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জমজমাট গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জমজমাট গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং মেলা

তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বাহারি রঙের সুতা, বোতাম, জল ছাপার সামগ্রী, মেশিন ও এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্যের মেলা প্রথম দিন থেকেই জমজমাট। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা—আইসিসিবিতে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এ মেলায় পোশাকশিল্পের সহায়ক নতুন নতুন প্রযুক্তি, সরঞ্জাম ও কাঁচামাল নিয়ে অংশ নিয়েছে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো।

গতকাল আইসিসিবিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন—বিজিএপিএমইএ আয়োজিত গ্যাপেক্সপো, ২০১৭-এর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। এ মেলার কো-অর্গানাইজার ভারতের এ এস কে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড ও জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিজিএপিএমইএ সভাপতি আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এফবিসিসিআইর প্রথম সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। আমাদের সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিস্ময়। পোশাকশিল্প ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার রপ্তানি দিয়ে শুরু হয়েছিল। সেখানে ২০২১ সালে ১৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। আজ আমরা খাদ্য রপ্তানি করছি। তাই আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে যেন কোনো সুবিধা ছাড়াই মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারি।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৫ সালে যখন কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয় তখন অনেকেই গার্মেন্ট সেক্টর নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই তার পরও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান পণ্য রপ্তানির দেশ। আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন মর্যাদাশীল। এ কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ কোথাও কোথাও ঈর্ষার পাত্রও হচ্ছে। ২০৩০ সালে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’ আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবার মেলায় দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে মোট ৮টি হলে ৬০০ স্টলসহ ৮০০ বুথ রয়েছে। মেলায় ভারত, চীন, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ ৩০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, তারা গার্মেন্ট সেক্টরের ৩৫টি বিষয় নিয়ে কাজ করেন। তাদের পণ্য বর্তমানে চীনে রপ্তানি হচ্ছে। তাদের কয়েকটি পণ্য হচ্ছে— সুয়িং থ্রেড, ওভেন লেভেল, পলিব্যাগ, লক পলি, ব্যাকবোর্ড, মেটালমোটিভ, লেদারব্যাজ, গামটেপ, সাবলিমেশন প্রিন্ট, অফসেট প্রিন্ট, থারমাল প্রিন্ট, রাবার প্যাচসহ বিভিন্ন সামগ্রী। মেলায় বিভিন্ন জিনিস পরখ করছেন বিদেশি দর্শনার্থীরা।

সর্বশেষ খবর