শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ স্বজনরা

তনু হত্যার ১০ মাস

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ স্বজনরা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ১০ মাস পূর্ণ হলো আজ। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে হত্যাকারীরা। এ অবস্থায় বিচার পাওয়া নিয়ে তনুর বাবা-মা ও স্বজনরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা ঘটনার পর থেকে তদন্তকারী সংস্থায় একাধিকবার পরিবর্তন ঘটানো হলেও দীর্ঘ সময়ে হত্যার জট খোলা হয়নি। ঘাতকদের শনাক্ত করা কিংবা মামলার তদন্তেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও নেই। মামলার অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুলতেই নারাজ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

তনুর পরিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১০ মাসেও তনু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে না পারা, সামরিক-বেসামরিক অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা, দুই দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করতে না পারা, এমনকি ডিএনএ পরীক্ষায় ৩ জন পুরুষের শুক্রাণু পেলেও এ পর্যন্ত ডিএনএ ম্যাচ করে ঘাতকদের শনাক্ত করতে না পারায় এ মামলার ভবিষ্যৎ কিংবা বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রাশেদা আখতার বলেন, তনু হত্যাকারীদের শনাক্তে প্রশাসনের গাফিলতি স্পষ্ট। অথচ এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে দেশে নারী নির্যাতন কমতো। বিশেষ করে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে দুঃসাহসী, তারা ভীতসন্ত্রস্ত হতো।

তিনি বলেন, আমরা তনুর হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের বিচার দাবি করছি। তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দেশে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়, অপরাধীদের সাজাও হচ্ছে। কিন্তু তনুর খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এই হত্যাকারীরা কী এতটাই শক্তিশালী যে তাদের শনাক্ত করতে এত সময় লাগছে? আমরা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিপক্ষে নই, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি-কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বরাবরের মতো বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলছে, তাই তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর