শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাইক্কা বিলে পাখির মেলা

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

বাইক্কা বিলে পাখির মেলা

শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে চলতি শীত মৌসুমে ৪০ প্রজাতির মোট ১০ হাজার ৭১২টি পাখি এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ প্রজাতির পরিযায়ী ও ২৪ প্রজাতির দেশীয় জলচর পাখি। আর উদরী বাবুবাটা নামে নতুন এক প্রজাতির পরিযায়ী এবং বড় তিত ও বাংলা শকুন নামে স্থানীয় দুই প্রজাতির পাখি এবার এই বিলে এসেছে। গত ১১-১২ জানুয়ারি ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলি হুডসের (ক্রেল) সিনিয়র কো-ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার ড. পল থম্পসন বাইক্কা বিলে পাখি গণনা করেন। পল থম্পসন জানান, এ বছর বাইক্কাবিলে আসা উল্লেখযোগ্য প্রজাতি হলো—পাতি শরালি,  বাটান, পান মুরগি, বেগুনি কালেম, কুট কালালেজ জৌরালী, ধলা বালিহাঁস। এর মধ্য ধলা বালিহাঁসের সংখ্যা ৪৩৯টি। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ক্রেল’র রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, জলাভূমির সূচক অনুযায়ী শুধু জলচর পাখিকেই এ গণনার আওতায় আনা হয়। ২০০৪ সালে প্রথম বাইক্কাবিলে পাখিশুমারিতে ২৯৬টি জলচর পাখির দেখা গিয়েছিল। ২০০৫ সালে ১ হাজার ১৭৪টি, ২০০৬ সালে আসে ৬ হাজার ৯৪৯টি, ২০০৭ সালে ৭ হাজার ২০৪টি, ২০০৮ সালে ৬ হাজার ৪২৯টি, ২০০৯ সালে ৯ হাজার ৪০৫টি, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৫০টি, ২০১১ সালে ৫ হাজার ৯৮৯টি, ২০১২ সালে ৩ হাজার ৯৬৪টি, ২০১৩ সালে ৭ হাজার ৪৯৯টি, ২০১৪ সালে ১০ হাজার ৪৭৯টি, ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৯৯১টি। আর গত বছর (২০১৬ সাল) ৩৮ প্রজাতির ৮ হাজার ৮৩২টি পাখি বাইক্কা বিলে দেখা গিয়েছিল।

মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, বাইক্কা বিল পাখি ও মাছের জন্য নিরাপদ স্থান। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাইক্কা বিলে পানির গভীরতা অনেক বেশি ছিল। যার কারণে বালিহাঁসের সংখ্যা বেশি। তা ছাড়া বিলের পাড়ে স্থাপন করা কাঠের বাক্সে বালিহাঁস প্রচুর ডিম দিয়েছিল। তা থেকেও অনেক বাচ্ছা ফুটেছিল।

 তিনি বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাইক্কা বিলে ১৯০ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। আর হাইল হাওরের নির্বাচিত বিলগুলো সমাজভিত্তিক সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করলে বিলের জৈবিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। তখন মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। পাখিও আরও বেশি আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর