শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার রিপোর্ট হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবোসে বাধ্য করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করা হয়েছে। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬৫ পৃষ্ঠার এ রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ওই প্রতিবেদনটি গতকাল হাই কোর্টে উপস্থাপনের জন?্য নিয়ে আসেন। তবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের মৃত্যুতে বেলা ১১টার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়। ডি এ জি সাজু বলেন, ‘ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বিভিন্ন ধাপে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ডসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মোট ৬৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করেছেন। আমাদের কাছেও এর অনুলিপি এসেছে। আগামী রবিবার আদালতের কার্যতালিকায় এটি আসবে এবং বিস্তারিত শুনানি হবে।’ তবে শ্যামলকান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবোসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সংশ্লিষ্টতা তদন্তে পাওয়া গেছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কল্যাণদী এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ছাত্র ও তার মা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মসজিদের ইমামের সাক্ষ্য ওই প্রতিবেদনে রয়েছে।

গত বছরের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামলকান্তিকে কান ধরে উঠবোসে বাধ্য করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এর আগে ইসলাম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ওই বছরের ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তকে জনতার সামনে কান ধরে উঠবোস করতে বাধ্য করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। শিক্ষক লাঞ্ছনার ওই ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এলে ১৮ মে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর