শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অন্য সম্প্রদায়ে বিয়ে করায় চাকমা তরুণীকে অপহরণ নির্যাতন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

ধর্ম একই। তবে সম্প্রদায় ভিন্ন। পারিবারিকভাবে ছিল না কোনো সমস্যা। তবুও অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে অস্ত্রের মুখে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা। গলায় ও পায়ে শিকল পরিয়ে দীর্ঘ দুই মাস নির্যাতন করা হয় তাকে।

গতকাল বেলা ১১টায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন অপহূত জোছনা চাকমা ও তার স্বামী  অপু চন্দ্র সিংহ। সংবাদ সম্মেলনে জোছনা চাকমা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর চট্টগ্রাম থেকে নিজের গ্রামের বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর নানাপুরণে স্বামী অপু চন্দ্র সিংহকে নিয়ে বেড়াতে আসেন জোছনা চাকমা। এ খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে আসেন ওই এলাকার এক নারী। তার সঙ্গে আসে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন যুব পরিষদের চার কর্মী। কিছু না বলে এ দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় তারা। অর্ধেক পথে স্বামী অপুকে ছেড়ে দিলেও ধরে নিয়ে যায় জোছনাকে। তিনি আরও বলেন, তার অপরাধ ছিল চাকমা হয়ে কেন বড়ুয়া ছেলেকে বিয়ে করলেন। অপহরণের পর প্রথমে তাকে জীবতলী শরবিন্দু চাকমার বাড়িতে পরে ডলুছড়ি কালাবিচা, চংড়াছড়ি শান্তিময় চাকমা ও সুবলছড়ি আনন্দমণির বাড়িতে রেখে নির্যাতন করা হয়। সেখানে অন্য চাকমা ছেলের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয় সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ দুই মাস বন্দী থাকার পর রাতের আঁধারে পালিয়ে জীবন রক্ষা পান জোছনা। পরে স্থানীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় স্বামী অপু চন্দ্র সিংহের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হন তিনি। অন্যদিকে এ সন্ত্রাসীরা জোছনা চাকমার পরিবারকেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে ওই দম্পতি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার নানাপুরণ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে জোছনা চাকমাকে তুলে নিয়ে যায় ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন যুব পরিষদের কর্মীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর