শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

নির্মল শান্তির বাতায়ন বাড়ির ছাদে বাগান

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

নির্মল শান্তির বাতায়ন বাড়ির ছাদে বাগান

‘আগে অবসর কাটত বন্ধুদের আড্ডায়। এখন কাটে বাড়ির ছাদের নির্মল বাতায়নে। সেখানে গড়া হয়েছে শান্তির বাতায়ন। যাতে আছে ফলদ, ফুল আর মৌসুমি সবজির দৃষ্টিনন্দন বাগান। সবুজ এ বাগান শুষে নেয় মনের সব ক্লান্তি। ফিরিয়ে দেয় অফুরন্ত উজ্জীবনী শক্তি।’ কথাগুলো কুষ্টিয়া সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আজমল গনি আরজু দম্পতির। আজমল গনির স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা পপিও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তাদের বাস কুষ্টিয়া শহরের টালিপাড়ায় হাসপাতাল মোড়ে ৩ নং এম ভূইয়া সড়কে। চারতলা বাড়ির তিনস্তরের ছাদে তারা পরম যত্নে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান। যাতে নানা জাতের অর্কিডও স্থান পেয়েছে। চারতলা বাড়ির শোবার ঘরের পাশেই খোলা বারান্দা। সেখানে টবে শোভা পাচ্ছে বেশ কয়েক প্রজাতির ফুল। যেমন মর্নিং গ্লোরি, বেলি, হাসনা হেনা, দোপাটি, বিভিন্ন রংয়ের গোলাপ, দোলনচাপা, আর হরেক রকমের ঘাস জাতীয় গাছ, অর্কিড চাইনিজ বাঁশসহ নানা জাতের বনসাঁই।

প্রায় ৫০ প্রকারের গাছ সৃষ্টি করেছে মায়াবি পরিবেশ। মূল ছাদের চারপাশে শিক্ষক দম্পতি করেছেন সবজির চাষ। তাতে রয়েছে লাউ, ঝিঙ্গা। বাঁশের মাচায় ঝুলছে করলা, মরিচ, লতানো রয়েছে পুঁই শাক। রয়েছে মুলা, ঢেঁড়স গাছ। আরও আছে বেগুন, ওলকপি, ব্রকলি ও ফুলকপি। চিলেকোঠার ছাদের চারপাশে শোভা পাচ্ছে ফলদ গাছ। সেখানে আছে হাইব্রিড তেঁতুল। পাশেই আম, আমড়া ও কদবেলের গাছ। আম্রপালি আমসহ বারমাসি আমের গাছও রয়েছে। আছে সফেদা, জলপাই, মেওয়া, কামরাঙা, বাতাবি লেবু, মাল্টা, জামরুল, পেয়ারা গাছ। শিক্ষক দম্পতি জানান, তারা বাড়ির ছাদ গাছ লাগানোর উপযোগী করে তৈরি করেছেন। পানি নিষ্কাশন, চারা রোপণ সবকিছুর জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ তারা বাড়ির ছাদে এ বাগান গড়ে তোলেন। আজমল গনী আরজু জানান, কেউ চাইলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছাদে বাগান গড়ে তুলতে পারেন। এতে একদিকে যেমন সংসারে আয় বাড়বে, তেমনি ইট-পাথরের শহরে মিলবে অবারিত সবুজ, অক্সিজেন আর নির্মল শান্তি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর