শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রস্তুতি

ডিজিটাল লটারিতে হবে স্টল বরাদ্দ

মোস্তফা মতিহার

বাঙালির দুয়ারে কড়া নাড়ছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। অমর একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কয়দিন পরই শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবেন প্রকাশকরা। প্রাণের স্পন্দনে ও একুশের চেতনায় প্রকাশক, লেখক এবং বইপ্রেমীদের আনা গোনায় মুখরিত হবে গোটা মেলা প্রাঙ্গণ। মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলা একাডেমি। লটারির সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে। তবে এবার মেলার লটারিতে যুক্ত হচ্ছে ভিন্নমাত্রা। এই প্রথম ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্রন্থমেলায়।

 এ জন্য  মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছে। এই ডিজিটাল পদ্ধতি অনুযায়ী কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশনীর নাম লিখে বাটন চাপলে স্টল নম্বর ও কোন চত্বরে বা কোথায় স্টলটি সেটি পর্দায় ভেসে উঠবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশকরা জেনে যাবেন তার স্টলটি কোথায় হবে। আগামী সোমবার লটারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ। তিনি আরও জানান, মেলাকে অনেক বেশি আধুনিক ও নান্দনিক করার লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ড. জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় আমরা নান্দনিকতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি পরিকল্পিত এবং সুন্দর মেলা উপহার দেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি আমরা। অন্যদিকে স্টলের পাশাপাশি প্রকাশকদের কাছে কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন। হাতে গোনা ১০-১২টি বড় প্রকাশনা সংস্থা ছাড়া বেশির ভাগ প্রকাশনা সংস্থাই প্যাভিলিয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্যাভিলিয়নের সংখ্যা কম থাকায় দীর্ঘদিন প্রকাশনা জগতে আছেন এমন অনেকেই প্যাভিলিয়ন পাচ্ছেন না। বাংলা একাডেমির কাছে আবেদন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে জানান বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় প্রকাশক। গতবারের মেলায় দুই, তিন ও চার ইউনিটের স্টলে থাকা ১২টি প্রকাশনা সংস্থা এবার প্যাভিলিয়নের জন্য আবেদন করেছে। আবার গত বছর ১ এবং ২ ইউনিটের স্টলে থাকা ২৪টি প্রকাশনা সংস্থা এবার ৩ ইউনিটের স্টলের জন্য আবেদন করেছে। অন্যদিকে গত বছর ২ এবং ৩ ইউনিটের স্টলে থাকা ৯টি প্রকাশনা সংস্থা এবার ৪ ইউনিটের স্টলের জন্য আবেদন করেছে। ১ ইউনিটের স্টল থেকে ২ ইউনিটের স্টলের জন্য আবেদন করেছে ৩৬টি প্রকাশনা সংস্থা। মেলাকে অনেক বেশি নান্দনিক করার লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নানা অংশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হবে। আর সন্ধ্যার পর সে গাছগুলোতে নানা রঙের বাতি জ্বলবে। প্রকাশনা সংস্থার পরিচিতিমূলক নির্দেশিকার জন্য প্রতিটি চত্বরে থাকবে বোর্ড। মেলায় আগতদের বিশ্রামের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ১০টির বেশি বসার স্থানের ব্যবস্থা করছে বাংলা একাডেমি। অন্যদিকে গতবারের বইমেলায় নিয়ম ভঙ্গ করে স্টলের স্থান পরিবর্তন করায় ১৫ প্রকাশনীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিষয়টিও মুচলেকার বিনিময়ে নিষ্পত্তি করে বাংলা একাডেমি।

মাতৃদুগ্ধ চত্বর : শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সুবিধার্থে এবারই প্রথম মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মাতৃদুগ্ধ চত্বর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি। মাতৃদুগ্ধ পান করা শিশু ও তাদের মায়েদের কথা চিন্তা করেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের অংশে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য আলাদা স্টল করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বদ্ধ স্টলের ভিতরে টেবিল, চেয়ার ও ফ্যানের ব্যবস্থা থাকবে।

সর্বশেষ খবর