শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

পাখির গ্রাম দশানী

সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

পাখির গ্রাম দশানী

পাখ-পাখালির প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়েছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নদীঘেরা গ্রাম দশানী। শীতের শুরুতে এ বছর আবারও শুরু হয়েছে নানা প্রজাতির পাখির আগমন। বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলা থেকে ৫ কি.মি.পশ্চিমে দশানী গ্রামের লোকসংখ্যা নিতান্তই কম। মাত্র ৩ হাজার প্রায়। মানুষ কম হলে কি হবে, এখানে রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির পাখি। এলাকাবাসীর ঘুম ভাঙে পাখির গানের সুরে, তেমনি সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালায় পাখির কিচির মিচির বাড়ি ফেরার ব্যস্ত সুরে। দিনভর শোনা যায় বিভিন্ন পাখির কণ্ঠে মিষ্টি মধুর সুর। গতকাল ছুটির দিনে সরেজমিন বাঞ্ছারামপুরের দশানী গ্রামে গেলে এমনই পাখ-পাখালির বিরল দৃশ্য দেখা যায়। পাখির প্রতি এক অকৃত্রিম ভালবাসা ও প্রেম জেগে ওঠে এখানকার মানুষের মধ্যে। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পাখিগুলোও মানুষের প্রতি যে ভয়ভীতি ছিল তা ভুলে গিয়ে নির্ভয়ে অবলীলায় এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এখানে পাখি শিকারীদের নেই কোনো উপদ্রব ও আতঙ্ক। তাই মানুষ ও পাখির গভীর বন্ধুত্বে এখানে সৃষ্টি হয়েছে এক মনোরম সৌহার্দ্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির পাখি ও মানুষের মধ্যে এত প্রেম-ভালোবাসা আর কোথাও আছে বলে জানা নেই। দশানী গ্রামের এসব পাখি ও পাখিপ্রেমী মানুষের বন্ধুত্বের কথা অগোচরেই রয়ে গেছে। দশানী গ্রামটি আইয়ুবপুর ইউপি সংলগ্ন এলাকার একটি নির্মল ঝিলের পাড়ে অবস্থিত এ যেন এক প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানা।

বৃক্ষ ও ঘন সবুজে এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এমনিতেই শোভা বিকাশ করে যাচ্ছে। এর সঙ্গে সবুজের ফাঁকে সাদা ও সোনালি বলাকার অবাধ বিচরণ সৌন্দর্যকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে এখানকার পরিবেশকে। এ ঝিলকে ঘিরেই এখানে গড়ে উঠেছে দেশের হারিয়ে যাওয়া ও বিরল প্রজাতির পাখ-পাখালির মিলনমেলা। ঘনবসতি ও কোলাহলমুক্ত দশানী এ এলাকায় পাখ-পাখালির এমন অঘোষিত অভয়াশ্রম না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর