সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রপতিকে কে এম হাসানের নাম দিয়েছেন, তিনি কী নিরপেক্ষ : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, আপনি যাকে প্রধান উপদেষ্টা করতে চেয়েছিলেন সেই সাবেক বিচারপতি কে এম হাসানকে সার্চ কমিটিতে রাখার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করেছেন। হাসান সাহেব কি বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন না? তিনি কী পক্ষ না নিরপেক্ষ? আপনি যে আজিজ মার্কা ইসি করেছিলেন, সেই এম এ আজিজ কি বিএনপির লোক ছিলেন না?। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কেউ থাকবে না। বিএনপি যা করেছিল আওয়ামী লীগ সেটি করবে না। গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পতাকা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ২০ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শেখ সাইদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক। সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনে তিনি যে নাম দেবেন তা আওয়ামী লীগ মেনে নেবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জিতেই গেছি, এই আত্মসন্তোষ, এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ভালোর জন্য আশা করতে হবে, খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। খারাপ কাজ করলে খারাপ সময়ে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে না পারলে আমাদের প্রাণ হারাতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসবেন, তারা ২০০১-০৬-এর চেয়েও ভয়ঙ্কর মূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হবে। ২০০১-এর পরে আমরা বাড়ি থাকতে পারি নাই। তিনি বলেন, পার্টির নামে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না। আমরা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। চার থেকে পাঁচজন সংসদ সদস্যকে পার্টি অফিসে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছি, সংশোধন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আরও অনেককে ডাকা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করতে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে হবে। সম্মেলনে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের শক্তি। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের যে কোনো অনুষ্ঠানে ছুটে যেতে কার্পণ্য করব না। ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ ধরনের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি চাই না। আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, জঙ্গিবাদ ইস্যুতে ১৬ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। চারদিকে মিথ্যার জয়জয়কার। মিথ্যাবাদীদের কথাবার্তা সর্বত্র প্রচার হয়। বিএনপিকে নাইট ক্লাব অভিহিত করে তিনি বলেন, যে দল একটি নাইট ক্লাবে পরিণত হয়েছে, তাদের কর্মীদের কথাও ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। বিএনপিকে ছোট করে দেখা ঠিক হবে না। এখন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সারা দেশে দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে হবে। দলকে আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে কর্মসূচি নিতে হবে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।  দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না।

সর্বশেষ খবর