শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বরিশালে অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট

খাদ্য সংকটের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনই পণ্য সংকটের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ও ফেরিঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সাইড এঙ্গেল, বাম্পার ও হুক অপসারণ সিদ্ধান্ত বাতিল, পুলিশের হয়রানি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানোসহ ১২ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানসহ সব পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশালে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের মজুদ কমে যাচ্ছে। ধর্মঘট চলতে থাকলে এখানে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু পণ্যবাহী পরিবহনের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সরকারকে সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে গতকাল সকালে নগরীর বান্দ রোডের আঞ্চলিক কর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এ সময় তারা সড়ক-মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ফেরিঘাটগুলোতে সরকার নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফেরিঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। কখনো কখনো শ্রমিকদের নির্যাতনও করা হয়। এ ছাড়া নানা নামে পুলিশ এবং নানা শ্রমিক সংগঠন চাঁদা আদায় করছে। এতে তারা অতিষ্ঠ। এ ছাড়া শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পণ্যবাহী যানের সামনে বাম্পার এবং পণ্য বাঁধার জন্য পাশে হুক লাগাতে হয়। কিন্তু বিআরটিএ এসব বাম্পার ও হুক খুলে ফেলতে বলেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের খুলনার আহ্বায়ক আলহাজ আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ঘাটে ঘাটে এত চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বিশ্বের আর কোথাও নেই। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সাইড এঙ্গেল, বাম্পার ও হুক অপসারণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তিনি। ১২ দফা দাবি মেনে না নিলে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।

 

এদিকে উদ্ভূত সংকট নিরসনে দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসে বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ আন্দোলনরত সংগঠনের মালিক-শ্রমিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সভায় জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও বিআরটিএ এর কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। তবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়। আজ ঢাকায় সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

এদিকে খুলনার খালিশপুরে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ইতিমধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, সকাল থেকেই ট্যাংকলরি শ্রমিকরা আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ায় তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানি তেল সরবরাহ না থাকায় পেট্রল পাম্পগুলোতে তেলের সংকট ও ডিজেলের অভাবে কৃষিতে সেচকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর