শিরোনাম
বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জিডিতেও মিলছে না নিরাপত্তা

কারও মিলছে লাশ কেউ থাকছেন লাপাত্তা চলে না তদন্ত

মাহবুব মমতাজী

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে চাওয়ার পরও মিলছে না নিরাপত্তা। নিখোঁজের পর অনেককে করা হচ্ছে হত্যা। এভাবে অসংখ্য সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজরা। পরবর্তী সময়ে কোনো কোনো নিখোঁজের লাশের সন্ধান পেয়েছেন তাদের স্বজনরা। কিন্তু বেশির ভাগের ক্ষেত্রে অজানাতেই থেকে গেছে নিখোঁজদের অবস্থা। একইভাবে বাড়ছে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংখ্যা। পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় এ লাশগুলো আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে পুলিশ। কিন্তু এরপর থেমে যায় ওই ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম। সন্ধানও করা হয় না তাদের নাম-ঠিকানা। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ ভুক্তভোগীর স্বজন, বন্ধু ও আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে তথ্য বের করে থাকে। অনেক সময় এসব ব্যক্তির সহযোগিতা পুলিশ পায় না। তাই তদন্তেও ফল পাওয়া যায় না। ঘটনা-১ : ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আইটি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কফিল বাড়ৈ (২০) নিখোঁজ হন গত ১৬ ডিসেম্বর। ঘটনায় পরদিন ভাটারা থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার। এর তিন দিনের মাথায় ১৯ ডিসেম্বর বারিধারার জে ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পানির রিজার্ভ ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয় কফিলের লাশ। এর পরই তার বড় ভাই প্রণব বাড়ৈ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

কফিলের বাবা ভরতচন্দ্র বাড়ৈ জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ছেলে হারানোর পরই থানায় আমরা জিডি করি। তবু তাকে জীবিত ফেরত পাইনি। পুলিশের কাছে আশ্রয় নেওয়ার পরও মানুষের নিরাপত্তা আছে কিনা তা ওপরওয়ালাই ভালো জানেন।’ জানা গেছে, কফিল বাড়ৈ হত্যা মামলাটি ভাটারা করেন মুস্তাফা মনোয়ার। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এখানে অনেক ছবি প্রদর্শিত হবে, এটা উৎসবের বড় আকর্ষণ। শিশুরা মনের আনন্দে ছবি দেখবে এবং অনেক কিছু জানতে পারবে। উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশুরা তাদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশেরও সুযোগও পাবে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, দেশে পরীক্ষার্থী বেড়ে গেছে শিক্ষার্থী নেই। এটাই বড় সংকট। বাচ্চাদের জীবন থেকে ফুল, পাখি, আলো বাতাস হারিয়ে যাচ্ছে। তারা মেশিনের মতো করে বড় হচ্ছে। আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় প্রদীপ প্রজ্বালন পর্ব। এরপর প্রদর্শিত হয় উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র ফিডল স্টিকস। এবারের উৎসবে বাংলাদেশসহ ৫৪টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। চট্টগ্রামে এ উৎসব শুরু হবে ৩ মার্চ। সারা দেশের ১১টি ভেন্যুতে এ উৎসবে শিশুরা বিনামূল্যে চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারবেন। রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন ছাড়াও এই উৎসবের ছবিগুলো একযোগে প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ধানমন্ডি ও উত্তরা শাখা, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তন। এবার প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের শিশুদের বানানো চলচ্চিত্র নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা বিভাগ থাকছে, যেখান থেকে একটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কার দেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ জন বিদেশি অতিথি উৎসবে প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১২৫ জন শিশু প্রতিনিধি অংশ নেবে উৎসবে।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কনসার্ট : সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘জাগো উচ্ছ্বাসে’ শিরোনামের একটি ফান্ড রাইজিং কনসার্ট। এদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। যৌথভাবে এই কনসার্টটির আয়োজন করছে ডিস্ট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই) ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কনসার্টে অংশ নেবেন ববিতা আক্তার, সাবিনা ইয়াসমীন, আইয়ুব বাচ্চু, সৈয়দ আবদুল হাদী, হায়দার হোসেন, বেনুকা ইনস্টিটিউট অব আর্টস, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভান্ডেরবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের লরা চৌধুরী। গতকাল সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদ সম্মেলনে আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মমিনুল ইসলাম, হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড করপোরেট কমিউনিকেশন মাহজাবীন ফেরদৌস, ডিসিসিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ডা. এহসান হক, ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু ও শিল্পী হায়দার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ কনসার্টের টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি ১২০০ টাকা। টিকিট বিক্রির অর্থ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

সর্বশেষ খবর